সেমিনারে বক্তারা
বিজ্ঞান শিক্ষার ঘাটতি পূরণ করছে বিজ্ঞান জাদুঘর

বিজ্ঞান জাদুঘর বিজ্ঞান শিক্ষার ঘাটতি পূরণে ব্যাপক অবদান রাখছে। শ্রেণিকক্ষে বিজ্ঞান শিক্ষার যে অভাব রয়েছে, তা পূরণ করছে এ জাদুঘর। বর্তমানে বিজ্ঞান জাদুঘর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অনন্য মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। শুধু শিক্ষার্থীরা নয়, শিক্ষকরাও এখান থেকে জ্ঞান আহরণের অফুরন্ত সুযোগ পাচ্ছেন। এখানে প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি অনেক বেশি।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে জাদুঘরের সেবার মানোন্নয়ন সম্পর্কিত স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই ছিল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী। এছাড়া এতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে যেসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পায় না, তার সমাধান পাচ্ছে বিজ্ঞান জাদুঘরে। বিজ্ঞান জাদুঘরের মাধ্যমে তরুণ বিজ্ঞানীদের জ্ঞানের তৃষ্ণা পূরণ হচ্ছে। শিক্ষক ও অভিভাবকরা যদি কোচিং সেন্টারে না দৌঁড়ে বারবার বিজ্ঞান জাদুঘর পরিদর্শনে আসেন, তবে বিজ্ঞান শিক্ষা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এখানে এসে শিক্ষার্থীদের বই পড়ার ক্লান্তি হারিয়ে যায় এবং বিজ্ঞানের দুরূহ অংশ সহজ হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, জাদুঘর পরিদর্শনে আসা শিক্ষার্থীরা যদি এ প্রতিষ্ঠানের অ্যাম্বাসেডরের ভূমিকা পালন করে, তবে বিজ্ঞান শিক্ষা এগিয়ে যাবে। কর্তৃপক্ষ এ প্রতিষ্ঠানের সেবার মান উন্নয়নে অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। জাদুঘর প্রাঙ্গণের পরিবেশ সুসজ্জিত ও পরিচ্ছন্ন রেখে এবং এর আধুনিকায়ন করে দর্শকবান্ধব অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শুধু বিজ্ঞান জাদুঘর নয়, ৬৪ জেলা ও ৪৯৬ উপজেলায়ও বিজ্ঞান বক্তৃতা, বিজ্ঞান মেলা, বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, সেমিনার ও কুইজ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারাদেশে বিজ্ঞান আন্দোলন ছড়িয়ে দিচ্ছে বিজ্ঞান জাদুঘর। এর প্রভাব পড়ছে সমাজ, রাষ্ট্র ও সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থায়।
এক্ষেত্রে শিক্ষক ও দর্শকদের এগিয়ে এসে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সহযোগীর ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও জানান মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী।
এমওএস/এমকেআর/এমএস