বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন করবে সরকার: তাজুল ইসলাম

শহরাঞ্চলে জনঘনত্ব বাড়ায় গৃহ ও শিল্প থেকে নির্গত বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে সরকার বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর জাপান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে আমি ভ্রমণ করেছি। তাদের কাছ থেকে জেনেছি কীভাবে তারা গৃহ ও শিল্প থেকে নির্গত বর্জ্য নিয়ন্ত্রণ করছে। এরপর বর্জ্য সমস্যার সমাধানে আমরাও নিজস্ব মডেল তৈরি করেছি। প্রধানমন্ত্রীও সেই মডেলের অনুমোদন দিয়েছেন। আমরা বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন করবো।
রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘পাবলিকেশন লঞ্চ ইভেন্ট, হাউ গভর্ন্যান্স রিফর্মস আর চেঞ্জিং দ্য আরবান ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডাকে দেশের সব মানুষ অংশ নেওয়ার কারণে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬৭ থেকে ৭০ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম। যা আমাদের এগিয়ে রেখেছে। তরুণদের ফলপ্রসূভাবে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি বলেন, সারাদেশে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে। বিদ্যুৎও সব জায়গায় পৌঁছে গেছে। তরুণ প্রজন্মের জন্য যা একটি বড় সুবিধা। তারা পাহাড় কিংবা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করলেও ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন। এতে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে তারা বিশ্বের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারছেন। তাদের চাকরি থাক বা না থাক, তারা উপার্জন করতে পারছেন। এসব কারণে দেশ এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আমরা খুবই আশাবাদী।
তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। এ সুযোগ আমাদের ভালোভাবে কাজে লাগাতে হবে। জীবনমানের উন্নয়ন হলে মানুষ সম্ভাবনাময় এলাকায় বসবাস করতে চান। কারণ, সেখানে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা থাকে। যেমন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে নামিদামি মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ঢাকায় অবস্থিত। যে কারণে যাদের উপার্জন বেড়ে যায়, জীবনমানের উন্নয়ন ঘটে, তারা ঢাকায় পাড়ি জমাতে চান। তারা তাদের সন্তানদের ঢাকায় লেখাপড়া করতে পাঠাতে চান।
এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এসব কারণে ঢাকা ও অন্য শহরগুলোতে জনঘনত্ব বেড়ে গেছে। এর ফলে শহরগুলোকে বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে।
আইএইচআর/এমকেআর/জিকেএস