ইউক্রেনে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত

২৩৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পেল ‘বাংলার সমৃদ্ধি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ২৩ মার্চ ২০২৩
ফাইল ছবি

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত ‘এম ভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। জাহাজের মালিক বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) বিমা কোম্পানির কাছ থেকে এ অর্থ পেয়েছে। প্রতি ডলার ১০৬ টাকা হিসেবে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৩৮ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মো. জিয়াউল হক জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিমার টাকা এরই মধ্যে সাধারণ বীমা করপোরেশনে চলে এসেছে। বিএসসিতে আসেনি, চলে আসবে ইনশাআল্লাহ।’

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে হামলার শিকার বাংলাদেশের জাহাজ, এক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের চাওয়া অনুযায়ী ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন ডলার (২ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার) পাচ্ছি। আমাদের প্রিমিয়াম দিতে হবে, সেটা অ্যাডজাস্ট করতে হবে। সেটা অ্যাডজাস্ট করে বাদবাকি আমাদের কাছে আসবে। প্রিমিয়াম বাবদ দিতে হবে ৮ মিলিয়ন (৮০ লাখ ডলার)।’

গত বছরের ২ মার্চ ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধকালীন ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিএসসির ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে জাহাজে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। পরে ৯ মার্চ জাহাজের অন্য নাবিকদের ফিরিয়ে আনা হয়।

আরও পড়ুন>> সেই জাহাজ ইউক্রেনে পাঠানোর তদন্ত চেয়ে মন্ত্রণালয়ে বিএমএমওএর চিঠি

গত বছরের ১৬ জুন নিহত হাদিসুরের পরিবারের কাছে ৫ লাখ ৫ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ তুলে দেয় বিএসসি। হাদিসুর রহমানের ভাইকে বিএসসিতে চাকরি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ওই জাহাজের অন্যান্য কর্মকর্তা ও নাবিকদের ৭ মাসের বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।

বিএসসি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালে জাহাজটি ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলারে সংগ্রহ করেছিল সংস্থাটি। যুদ্ধকালীন উচ্চ ঝুঁকি এড়াতে বিমা করা ছিল জাহাজটির। পরে যা লন্ডনের লয়েডের ব্রোকার টাইজারসের মাধ্যমে পুনর্বিমাও করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন>> ইউক্রেনে আটকা বিদেশি জাহাজ ছাড়ার প্রতিশ্রুতি রাশিয়ার

আরএমএম/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।