মন্ত্রী তাজুল
ধর্মীয় সহনশীলতায় বাংলাদেশ সমসাময়িক বিশ্বে উজ্জ্বল উদাহরণ
ধর্মীয় সহনশীলতায় বাংলাদেশকে সমসাময়িক বিশ্বে উজ্জ্বল উদাহরণ বলে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক চেতনার ফলেই ১৯৭১ সালে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব কোনো ধর্মের ভিত্তিতে হয় না, জন্মসূত্রে আমরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন আয়োজিত শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা-২০২৩ উপলক্ষে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাথেরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাথু বেহ।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, বাঙালির ঐতিহ্য হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনা। হাজার বছর ধরে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে পাশাপাশি বসবাস করেছে। ধর্মীয় সহনশীলতায় বাংলাদেশ সমসাময়িক বিশ্বে উজ্জ্বল উদাহরণ।

তিনি বলেন, বিএনপি শাসনামলে চট্টগ্রামের রাউজানে হিন্দু ধর্মের মানুষদের ওপর যে বর্বর নির্যাতন হয়েছে তা পাকিস্তানি হানাদারদের নৃশংসতাকেও হার মানায়।
বর্তমান সরকারের আমলে ধারাবাহিক নানা উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব ধর্মের নাগরিকদের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেছেন। এ দেশ আমাদের সবার এবং দেশের উন্নয়নে সবাইকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, বর্তমান সরকারের অসাম্প্রদায়িক চেতনা বাস্তবায়নের ফলে বুদ্ধ পূর্ণিমা এখন অন্যতম জাতীয় উৎসব। এটাই বাঙালির সংস্কৃতি ও আমাদের হাজার বছরের ঐতিহ্য।
তিনি শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমায় হিন্দু, মুসলমান ও খ্রিস্টানসহ নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এনএইচ/এমকেআর