ডেপুটি স্পিকার

রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ পিএম, ২০ মে ২০২৩

ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেছেন, করোনাকালীন ও পরবর্তী সময়ে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ফলে দেশের অর্থনীতি কখনোই মুখ থুবড়ে পড়েনি। এসময় অনেক উন্নত দেশেও অর্থনৈতিক দুর্যোগ দেখা গিয়েছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য আরও ভালো অবস্থান তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিচ্ছে। তাদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কোনো অজুহাতেই কোনো রেমিট্যান্স যোদ্ধাকে বঞ্চিত রাখা যাবে না, তাদের সার্বিক সহায়তা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (২০ মে) সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে পার্লামেন্টারি ককাসের সামগ্রিক সহযোগিতায় ও ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, দ্য সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) ও হেলভেটাস বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত অভিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অধিকার বাস্তবায়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রাক-বাজেট জাতীয় পরামর্শ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সংসদ সদস্য ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাসের সভাপতি শামীম হায়দার পাটোয়ারী, আহসান আদেলুর রহমান, তানভীর শাকিল জয়, মোস্তাফিজুর রহমান, রানা মোহাম্মদ সোহেল, কাজিমুদ্দিন আহমেদ, আরমা দত্ত, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, তামান্না নুসরাত (বুবলী), আদিবা আনজুম মিতা, জাকিয়া তাবাস্সুম, রওশন আরা মান্নান এবং সাবেক সংসদ সদস্য কামরুন নাহার, রুকসানা ইয়াসমিন ছুটি ও নাভানা আক্তার অংশ নেন।

ডেপুটি স্পিকার বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কেউ পেছনে পড়ে থাকতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রতিটি হাত কাজে লাগাতে চান। যেখানে নারী-পুরুষ সবাই অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। কারিগরি শিক্ষা ও প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জনের মধ্য দিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে হবে। ২০৪১ সালের মাঝে উন্নত দেশ গড়তে আমাদের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে বেকারমুক্ত করে সম্পদে পরিণত করতে হবে। আমাদের জনসংখ্যা বোঝা নয়, এগুলো সম্পদ। আর এ সম্পদ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্টের সুবিধা অর্জন করতে হবে।

শামসুল হক টুকু বলেন, একটি সেক্টর আরেকটি সেক্টরের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা উচিৎ হবে না। সব সেক্টর নিয়েই দেশ এগিয়ে যাবে। সবার জন্য সুষম বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে। স্বল্পকালীন, মধ্যকালীন ও দীর্ঘমেয়াদী প্রয়োজন বিবেচনা করে এবং অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে বাজেট নির্ধারণ করতে হবে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বৃহত্তর অভিবাসী সম্প্রদায়ের কল্যাণ ও অধিকার বাস্তবায়নে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেট এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্ম সচিব কাজী আবুল কালাম মন্ত্রণালয়ের বাজেট তৈরির অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া এবং বাজেট অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের সুপারিশসমূহ একীভূত করার সুযোগ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।

সভায় হেলভেটাস বাংলাদেশের প্রকল্প পরিচালক মো. আবুল বাশার, ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক, সাংবাদিক জামিল মাহমুদসহ বায়রা, সিপিডি, হেলভেটাস বাংলাদেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/এমআইএইচএস/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।