ভারতের রেলমন্ত্রী

বাংলাদেশকে উপহারের ২০ লোকোমোটিভ বন্ধুত্বের প্রতীক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩২ পিএম, ২৩ মে ২০২৩

বাংলাদেশকে দেওয়া ২০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভকে (রেল ইঞ্জিন) বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ভারতের রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে দেওয়া এই ২০টি বিজি লোকো বাংলাদেশের জনগণের রেল ভ্রমণকে সহজ করবে।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বিকেলে লোকোমোটিভ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ভারতের রেলমন্ত্রী। দর্শনা স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের দেওয়া অনুদানের ২০টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এগুলো গ্রহণ করেন রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।

ভারত বলছে, এই লোকোমোটিভগুলো বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের তাগিদ

বাংলাদেশকে দেওয়া এই লোকোমোটিভকে সম্পদ ও দক্ষতা বিনিময়ের একটি চমৎকার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন ভারতের রেলমন্ত্রী। তিনি বলেন, দুই দেশের সরকারের জন্য অগ্রাধিকার ছিল বহুমুখী সংযোগ বাড়ানো। বিশেষ করে রেলওয়েতে।

Rail-1.jpg

ভারতের রেলমন্ত্রী বলেন, রেল সংযোগ হচ্ছে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন অংশীদারিত্বের অন্যতম প্রধান উপাদান। যার মাঝে ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে রেল সেক্টরের প্রকল্প শেষ হয়েছে। এছাড়া ১ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যমানের প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতিফলন হিসেবে, কলকাতা-ঢাকা, কলকাতা-খুলনা ও ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে তিনটি আন্তঃসীমান্ত ট্রেন সার্ভিস চালু রয়েছে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত ভাইয়ের মতো সম্পর্ক রক্ষা করে: ভূমিমন্ত্রী

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে বলে জানান শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।

তিনি আরও জানান, ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্য বেশ কিছু প্রকল্প চিহ্নিত করা হয়েছে যা রেলওয়ের মাধ্যমে বৃহত্তর দ্বিপাক্ষিক এবং উপ-আঞ্চলিক সংযোগের গুরুত্বকে তুলে ধরবে। এরমধ্যে রয়েছে ১৯৬৫ আগের রেল সংযোগসমূহ পুনরুদ্ধার করা, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে নতুন রেলওয়ে সংযোগ তৈরি করা, বাংলাদেশের রেল কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দেওয়া।

Rail-1.jpg

ভারতের রেলমন্ত্রী বলেন, রেলের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে। প্রতি মাসে উভয় দিক থেকে প্রায় ১০০টি পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করে।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এবং কানেক্টিভিটি

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার শ্রী প্রণয় ভার্মা ঢাকার রেল ভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এছাড়া ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান দিল্লির রেল ভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

জেডএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।