চট্টগ্রামে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ পাচারকারী গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:২০ পিএম, ২৭ মে ২০২৩

চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ এলাকা থেকে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ মো. আবদুল মালেক (৬৮) নামের এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গ্রেফতার আবদুল মালেক মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার দীতেশ্বর গ্রামের মৃত হাজি আবদুল আলীর ছেলে।

শনিবার (২৭ মে) দুপুর ২টার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় র‌্যাব-৭। উদ্ধার করা হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়ার মূল্য কোটি টাকা বলে জানিয়েছে র‌্যাব। এর আগে শুক্রবার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১০টার দেকে নগরীর পাচঁলাইশ থানার শুল্কবহর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, পাঁচলাইশ থানার শুল্কবহর এলাকার একটি বাড়ির ভাড়া বাসায় বন্যপ্রাণী নিধন করা হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া সংগ্রহে রেখে বিক্রয় করার চেষ্টা চলছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে আবদুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় হাতির চারটি দাঁত, ছোট-বড় ও মাঝারি আকারের ২০টি দাঁতের খণ্ডাংশ মিলে ১৪ কেজি ওজনের দাঁত এবং একটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।

চট্টগ্রামে হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়াসহ পাচারকারী গ্রেফতার

আটক ব্যক্তি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পারমিট ছাড়া বন্যপ্রাণী (হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়া) বিভিন্ন অংশবিশেষ সংগ্রহ করে পরে তা চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উচ্চমূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধার করা হাতির দাঁত ও হরিণের চামড়ার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন আইনে মামলা হয়েছে।

আব্দুল মালেককে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, আবদুল মালেক মূলত মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার বাসিন্দা। তিনি ১৯৭৬ সাল থেকে তার বাবার সঙ্গে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি এলাকায় হাতি দেখভাল করার জন্য আগমন করেন। তার বাবার কয়েকটি হাতি ছিল। ১৯৯৮ সালে তার বাবা মারা গেলে হাতির ব্যবসা দেখভাল করার জন্য তিনি ছয় বছর ধরে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা এলাকায় ছিলেন। তিনি একজন লাইসেন্সধারী হাতির পালক।

২০১০ সালের পরে লাইসেন্স প্রভিশন হলে তিনি পুনরায় লাইসেন্স করেন। তবে, তিনি স্থায়ীভাবে তখন বাঘাইছড়ি থাকতেন না, দু-চারদিন থেকে আবার মৌলভীবাজার চলে যেতেন। তার বৈধভাবে ছোট-বড় মোট ১২টি হাতি আছে। স্থানীয় তথ্যানুযায়ী তার ২৪-২৫টি রেজিস্ট্রেশন ছাড়া হাতি রয়েছে, যা দিয়ে তিনি বিয়ে বাড়িতে ভাড়াসহ পাহাড়ি এলাকায় গাছ টানানোর কাজ করেন। পাহাড়ি এলাকা থেকে অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর চামড়া, হাতির দাঁত সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে নিজের হেফাজতে সংরক্ষণ করে আসছিলেন।

এমডিআইএইচ/এমএএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।