আনসারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৬ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

২৩তম ব্যাচ নবীন ব্যাটালিয়ন আনসারদের ছয় মাসের মৌলিক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার গাজীপুরের সফিপুরে আনসার ভিডিপি একাডেমিতে এই কুচকাওয়াজ হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান।

ইয়াদ আলী প্যারেড গ্রাউন্ডে সকাল ৯টায় কুচকাওয়াজ শুরু হয়। অশ্বারোহী দলের নিরাপত্তা বেষ্টনীতে মাঠের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে আগমন করেন প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল একেএম আমিনুল হক। লাল গালিচায় মোড়ানো সুসজ্জিত খোলা সবুজ জিপে তিনি প্রতিটি কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন।

এসময় অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খোন্দকার ফরিদ হাসান এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট মো. ফখরুল আলম প্রধান অতিথির সঙ্গে ছিলেন। পরে প্যারেড কমান্ডার উপপরিচালক মো. জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে কন্টিনজেন্টগুলো ছয় সারিতে মার্চ পাস্ট করে প্রধান অতিথিকে অভিবাদন জানায়।

মোট ৪৭৯ নবীন ব্যাটালিয়ন আনসার প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ড্রিলে শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার অর্জন করেন মুরাদ হোসেন রাহাদ, ফায়ারিংয়ে সেরা হন মো. সেলিমুজ্জামান সেতু। আর সব মিলিয়ে চৌকস প্রশিক্ষণার্থীর পুরস্কার লাভ করেন খোদা বক্স মৃধা।

আনসার সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান, মেধা, শ্রম ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আপনারা অনন্য উচ্চতায় এগিয়ে নিয়ে যাবেন। সুশৃঙ্খল বাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে পেশাগত ক্ষেত্রে আত্মনিবেদিত থেকে একটি মর্যাদাসীন ও সুদৃঢ় অবস্থানে এ বাহিনীকে দাঁড় করাতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবেন।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে বাহিনীর সুনাম ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে দেশ এবং জাতির উন্নয়নে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করবেন।

ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যরা পার্বত্য চট্টগ্রামে দুর্গম এলাকার গহীন জঙ্গলে নিয়মিত টহল ছাড়াও আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের দমন এবং শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করে। বর্তমানে ১৬টি ব্যাটালিয়নের প্রায় সাড়ে ছয় হাজার সদস্য এককভাবে ৬০টি ক্যাম্প ও অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে ১৮৬টি ক্যাম্পে কর্মরত থেকে ‘অপারেশন উত্তরণ’ এ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আঞ্চলিক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১৯ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

জেডএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।