ডিআইটি পুকুর পুনরুদ্ধারে রাজউককে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর ধন্যবাদ

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় বহুল আলোচিত ডিআইটি পুকুর দখলের বিরুদ্ধে অভিযান এবং পুকুর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান চালায় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এ অভিযান পরিচালনা করায় রাজউককে ধন্যবাদ জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর সমন্বিত জোট বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)।
শুক্রবার (৯ জুন) সংগঠনের পক্ষে রাজউককে ধন্যবাদ জানান বিএনসিএ’র আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার এবং সদস্য সচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
রাজউককে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ) পুকুর ভরাট করে অবৈধভাবে নির্মিত ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাহানা আক্তারের অস্থায়ী কার্যালয়ও উচ্ছেদ করার দাবি জানায়। একই সঙ্গে রাজউকের অভিযানের সময় পুলিশের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটি। হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবিও জানায় প্রকৃতি সংরক্ষণে নিবেদিত এই জোট।
সংগঠনটি বলছে, পুরান ঢাকা যখন চরমভাবে জলাধার শূন্যতায় ভুগে নানান বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে, যখন ঢাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে পানি পাওয়া যায় না, যখন ঢাকায় চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ- তখনও এই শহরে নানান কৌশলে চলছে প্রাকৃতিক জলাধার দখলের চেষ্টা। ডিআইটি প্রকল্পের পুকুর আশাপাশের এলাকার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, অগ্নি নির্বাপণ, ভূগর্বস্থ পানির সংস্থান, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণসহ নানানভাবে ভূমিকা রেখে আসছে।
ডিআইটি পুকুর রক্ষার দাবিতে গত ২ জুন পুকুরপাড়ে মানববন্ধন করার ঘোষণা দিয়েছিল স্থানীয় জনগণ। ওই মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করে অংশগ্রহণ করতে উপস্থিত হয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের (বিএনসিএ) আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার, যুগ্ম আহ্বায়ক সুমন শামস, ইবনুল সাঈদ রানা, নগর পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খানসহ পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
এসএম/কেএসআর/এএসএম