টিকা তৈরির কাজ দ্রুত অনুমোদন চায় এডিবি, মিলবে ৩৭১৮ কোটি ঋণ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ১১ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশের ভ্যাকসিন তৈরির সক্ষমতা বাড়াতে দ্রুত প্রকল্প অনুমোদন চায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বর্তমানে প্রকল্প প্রস্তাব তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি অনুমোদন না হলে স্বল্প সুদের ঋণ পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চত হবে।

বুধবার পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের সঙ্গে বৈঠকে এসব কথা জানান সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং। এদিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মন্ত্রীর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, করোনা ও ডেঙ্গুসহ আরও নানা ধরনের রোগের টিকা তৈরি করা হবে। আগামীতে আরও নানা ধরনের ভাইরাস আসতে পারে। সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি দরকার। সরকার সেজন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেখানে এডিবি ৩৩৮ মিলিয়ন ডলার বা ৩৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দেবে। টাকার অঙ্কে ৩ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অর্ধেক স্বল্প সুদে এবং অর্ধেক বাজার দরের কাছাকাছি সুদ থাকবে। প্রকল্পটি যাতে দ্রত অনুমোদন করিয়ে দেওয়া হয় সেজন্য এডিবি অনুরোধ করেছে। মন্ত্রী বলেন, আমার পক্ষ থেকে কোনো কমতি থাকবে না। এটি ভালো উদ্যোগ। এডিবি আমাদের ভালো বন্ধু। যত দ্রত অনুমোদন করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেছেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশে তার সবচেয়ে ভালো সময় কেটেছে। কাজের পরিবেশ, অর্থছাড়, প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং ঋণ অনুমোদন সব ক্ষেত্রেই ভালো সময় পার করেছেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, গত অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২ বিলিয়ন ডলার স্বল্প সুদে এবং দেড় বিলিয়ন ডলার বাজার দরের কিছু কম সুদের ঋণ।

তিনি আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পরবর্তী পর্যায়ে আগামী ২০২৬ সালের পর বাংলাদেশ আর স্বল্প দামে টিকা কিনতে পারবে না। তখন আন্তর্জাতিক বাজার দর অনুযায়ীই টিকা কিনতে হবে। এজন্য এখন থেকে দেশেই যাতে বাংলাদেশ টিকা তৈরি করতে পারে সেজন্য সক্ষমতা বাড়ানোর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এটি যাতে দ্রত অনুমোদন হয় সেটিই আমরা চাই।

এমওএস/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।