নায়ক না হয়েও যিনি গল্পের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেন
বড় পোস্টারে মুখ থাকে না। গ্ল্যামার কিংবা গসিপেও তাকে নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয় না। তবু পর্দা যখন আলোয় ভরে ওঠে, ক্যামেরার ফোকাস একসময় ঘুরে আসে তার দিকেই। তিনিই নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী। সেই অভিনেতা, যিনি প্রচলিত তারকাব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে প্রমাণ করেছেন নির্ভার অভিনয়, চরিত্রের গভীর উপলব্ধি আর আত্মিক প্রস্তুতিই কাউকে নায়ক না হয়েও গল্পের প্রাণভোমরা হয়ে উঠতে পারে। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
আজ গুণী এই অভিনেতার জন্মদিন। ১৯৭৪ সালের এই দিনে উত্তর প্রদেশের ছোট গ্রাম বুধানায় একটি মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম তার।
-
উত্তরপ্রদেশের একটি ছোট্ট গ্রাম থেকে যাত্রা শুরু নওয়াজের। কৃষক পরিবার, আট ভাইবোনের ভেতর বেড়ে ওঠা একটা নির্দিষ্ট জীবনের গণ্ডির বাইরে বেরোনোর সুযোগই ছিল না প্রায়।
-
সিনেমার প্রতি টান, আর নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের আকাঙ্ক্ষাই তাকে নিয়ে আসে দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়। সেখান থেকে মুম্বাই যেখানে অপেক্ষা করছিল বছরের পর বছর ধরে এক্সট্রা আর ছোট চরিত্রে অভিনয় করে টিকে থাকার কঠিন সংগ্রাম।
-
নওয়াজুদ্দীন তার চরিত্রে ঢুকে পড়েন এমনভাবে যেন তার চোখ দিয়েই দর্শক গল্পকে অনুভব করতে পারেন।
-
‘কাহানি’ এর সেই রহস্যময় কনট্র্যাক্ট কিলার, ‘গ্যাংস অব ওয়াসেপুর’ এর ফয়জল, ‘মান্জি: দ্য মাউন্টেন ম্যান’ এর দশরথ, কিংবা ‘স্যাক্রেড গেমস’ এর গাইটোন্ডে সব চরিত্রেই তিনি ছিলেন একেবারে আলাদা অথচ প্রতিটিতেই তিনি ছিলেন অবিচ্ছেদ্য, অবিস্মরণীয়।
-
এই অভিনেতা ডায়ালগ দিয়ে চরিত্রের ভার তৈরি করেন না, তিনি করেন ভঙ্গিমায়, চোখে, নীরবতাতেই। একটা দৃশ্য যখন তার চারপাশে তৈরি হয়, তখন দর্শকের মনও ধীরে ধীরে সেই চরিত্রের দিকেই কেন্দ্রীভূত হতে থাকে। হয়তো সেটাই তার অভিনয়ের আসল শক্তি, তিনি পর্দার এক কোণায় থেকেও দর্শকের পুরো মনোযোগ কেড়ে নেন।