যেখানে গল্প থেমে যায়, সেখানেই ঋদ্ধির অভিনয় শুরু হয়
একটি দৃশ্য যখন শষ হয়ে যায়, সংলাপ থেমে যায়, আলো নিভে আসে, অনেক অভিনেতার অভিনয়ও তখন থেমে যায়। কিন্তু ঋদ্ধি সেন সেখানেই শুরু করেন তার জাদু। তার চোখ, ভঙ্গি, নিঃশব্দ উপস্থিতি-সব যেন গল্পের ছায়ার ভেতরেও এক নতুন গল্প বলে যায়। ছবি: ফেসবুক থেকে
-
আজ এই গুণী অভিনেতার জন্মদিন।
-
ঋদ্ধি যখন ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান, তখন তিনি আর ‘ঋদ্ধি’ থাকেন না। তখন তিনি সেই চরিত্র, যার মনোজগত, যন্ত্রণার ইতিহাস কিংবা নীরব আনন্দ দর্শকের চোখে মুগ্ধতা তৈরি করে।
-
বয়সে তরুণ, অভিজ্ঞতায় পূর্ণ আর অভিনয়ে একেবারে পরিণত ঋদ্ধি সেন।
-
অভিনয় তার রক্তে সন্দেহ নেই। বাবা কৌশিক সেন, মা রেশমি সেন থিয়েটারের মাটি, মঞ্চ, সংলাপ আর আলো-অন্ধকারে ঋদ্ধির শৈশব গড়ে উঠেছে। কিন্তু অভিনয়ের প্রতি তার ভালোবাসার প্রমাণ বারবার দিয়েছেন তিনি।
-
‘নগরকীর্তন’ এর রূপান্তরিত চরিত্রটি আজও বাংলা সিনেমার এক শক্তিশালী অধ্যায়। শুধু সাহস নয়, অনুভব দিয়ে সাজানো সেই চরিত্র ঋদ্ধিকে এনে দেয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সবচেয়ে কম বয়সে এই সম্মান অর্জন করেছিলেন তিনি।
-
ঋদ্ধি সংলাপে জোর দেন না, তার অভিনয়ের মাধুর্য লুকিয়ে থাকে ছোট ছোট নড়াচড়ায়, অভিব্যক্তিতে। তিনি কথা বলেন চরিত্রের চোখ দিয়ে, চুপ থাকার মধ্য দিয়ে।
-
‘ঈগলের চোখ’, ‘হেলিকপ্টার ইলা’, ‘ভটভটি’, ‘বহ্নিশিখা’ প্রতিটি কাজেই তিনি নিজেকে ভেঙে নতুন করে গড়েছেন।
-
তার চরিত্র কখনো নিঃসঙ্গ, কখনো প্রতিবাদী, কখনো ক্লান্ত, আবার কখনো শূন্য। কিন্তু সব সময়ই জীবন্ত।