কানে গল্প নয়, যেন ইতিহাসের উৎসব চলছে
ফ্রান্সের কানে বসেছে রুপালি জগতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ মিলনমেলা। কিন্তু এবারের কান চলচ্চিত্র উৎসব যেন শুধু ক্যামেরা, গ্ল্যামার আর প্রিমিয়ারের আলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। পর্দায় উঠে আসছে যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরের হাহাকার, নারীর সংগ্রাম, প্রযুক্তির অপব্যবহার আর নিপীড়নের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠা মানবতা। উৎসবের এক প্রান্তে তারকারা হাঁটছেন লালগালিচায়, অন্য প্রান্তে চলচ্চিত্র হয়ে উঠছে নীরব অথচ তীব্র প্রতিবাদের ভাষা। মনে হয়, কানে এখন শুধু গল্প বলা হচ্ছে না তৈরি হচ্ছে সময়ের এক সামাজিক ইতিহাস। ছবি: এএফপি ও ইনস্টাগ্রাম থেকে
-
এটা শুধুই একটি চলচ্চিত্র উৎসব নয়, যেন রূপালি পর্দার অলিম্পিক। ফ্রান্সের কানে চলছে ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসব। ১৪ মে থেকে শুরু হওয়া এ উৎসব চলবে ২৫ মে।
-
গোটা বিশ্বের চোখ এখন ফরাসি রিভেরার ছোট্ট এই উপকূলীয় শহরটিতে, যেখানে তারকারা হাঁটছেন লালগালিচায়, ক্যামেরার ফ্ল্যাশে জ্বলছে প্যালেস দ্যু ফেস্টিভাল, আর পর্দায় একে একে উঠছে সময়ের আলোড়ন তোলা গল্পগুলো।
-
১৯৪৬ সালে যুদ্ধশেষে বিশ্বে চলচ্চিত্রকে আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরার স্বপ্ন নিয়ে জন্ম নেয় ‘ফেস্টিভ্যাল দ্য কান’। শুরুতে এটি ছিল ফ্রান্সের নান্দনিক জবাব, ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবের ফ্যাসিবাদী প্রভাবের বিপরীতে এক উদার শিল্পচর্চার জায়গা।
-
আজ কান শুধুই উৎসব নয়, এটা একটি রাজনৈতিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক চেতনার বহিঃপ্রকাশ; যেখানে একদিকে থাকে তারকাদের ফ্যাশনের ঝলক, অন্যদিকে পর্দায় ফুটে ওঠে গৃহযুদ্ধ, নিপীড়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর অধিকার বা স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সরব প্রতিবাদ।
-
এবারের কানে প্রতিযোগিতা বিভাগে যেমন রয়েছে বিশ্বখ্যাত নির্মাতাদের ছবি, তেমনি দেখা যাচ্ছে নতুন নির্মাতাদের সাহসী কাজ।
-
কান কখনো শুধু তারকার মঞ্চ হয়ে থাকেনি। ১৯৬৮ সালে ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানাতে উৎসব বন্ধ হয়েছিল। ২০২১ সালে নারী নির্মাতাদের সমতা না থাকায় লালগালিচায় হাতে হাত ধরে দাঁড়িয়েছিলেন ৮২ জন নারী।
-
এবারের কানে গাজা যুদ্ধ, ইউক্রেন সংকট এবং নারীর ওপর সহিংসতা বিষয়েও শিল্পীদের প্রতিবাদ চোখে পড়েছে সিনেমার ভাষা, পোশাক বা আচরণের মাধ্যমে।