গাছে গাছে ঝুলছে কাঁচা-পাকা আম
শখের বশে বাড়ির আঙিনায় আম চাষ করে বাজিমাত করেছেন কুয়াকাটার ইসাহাক মুন্সি। এক গাছ থেকেই বিক্রি করেছেন প্রায় লাখ টাকার ওপরে। শুধু তা-ই নয়, শখের বশে আম বাগান করে এখন পুরো এলাকার আমের চাহিদা মেটান। এমনকি উপজেলাজুড়ে ‘কুয়াকাটার আম’ নামে খ্যাতি পেয়েছে। ছবি: আসাদুজ্জামান মিরাজ
-
স্বাদে সুমিষ্ট, কীটনাশকমুক্ত এবং দেশি প্রজাতির হওয়ায় ১০০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয় এ গাছের আম।
-
একটি গাছ থেকে পেয়েছেন প্রায় ৪০ মণ আম। গাছটি ছাড়াও বাড়ির আশেপাশে ৩-৪ একর জায়গায় চাষ করেছেন ২০০টির বেশি আম গাছ।
-
যার মধ্যে আছে ফজলি, ল্যাংড়া, আশ্বিনা, হিমসাগর, লকনা, কিউজাই, ব্যানানা ম্যাংগোসহ নানা প্রজাজির আম। এসব আম ৪০-২০০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বিক্রি হয়। এলাকার যে কেউ চাইলে চাহিদামতো আম নিতে পারেন।
-
২০০৯ সালে কৃষক ইসাহাক মুন্সি তাবলিগে রাজশাহী গিয়ে দেখেন আম বাগান। পরের বছর রাজশাহী থেকে ৫০টি আমের চারা এনে বাড়ির আঙিনায় চাষ শুরু করেন।
-
ভালো ফলন দেখে পরিধি বাড়িয়ে বাগান তৈরি করেন। এরপর থেকে প্রতি বছর আমের উৎপাদন বাড়তে থাকে।
-
পুরো এলাকায় চাহিদা বাড়তে থাকতে তার আমের। সবমিলিয়ে তিনি প্রতি বছর ৫-৬ লাখ টাকার আম বিক্রির স্বপ্ন দেখছেন।
-
কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বলেন, ‘ইসাহাক মুন্সির বাগানে আমরা গেছি। তাকে সফল চাষি বলা যায়। কলাপাড়ায় গত ৪-৫ বছরে আম চাষে পরিবর্তন এসেছে। এ বছর প্রচুর আম উৎপাদন হয়েছে। ২০০টি ছোট-বড় বাগান আছে। এতে ব্যবহৃত হয়েছে প্রায় ১০০ হেক্টর জমি। এ বছর উপজেলায় সর্বমোট ৩০০ মেট্রিক টনের বেশি আম উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে।’
-
তিনি বলেন, ‘কোনো চাষি বাগান শুরু করার আগে সব পরামর্শ ও পদ্ধতির দিকে আমরা নজর রাখি। তবে আমাদের চারা কিংবা কীটনাশক চাষিদের দেওয়ার কোনো সুযোগ তৈরি হয়নি। পরে বরাদ্দ দেওয়া হলে আমরা বিতরণ করবো।’