শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ

ভিড় সামলাতে হকার সরাচ্ছেন নেতারা, স্বস্তি কর্মীদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৫২ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশের আশপাশ থেকে হকারদের সরিয়ে দিচ্ছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা/ছবি ইয়াসির আরাফত রিপন

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বছরপূর্তি উপলক্ষে আজ রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের ‘ছাত্র সমাবেশ’ ঘিরে নেতাকর্মীদের ব্যাপক সমাগম ঘটেছে। এরই মধ্যে সংগঠনটি শক্তিমত্তা প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানাচ্ছেন ছাত্রদল নেতারা।

তবে সমাবেশের আগেই শাহবাগ মোড় ও আশপাশের এলাকায় হকারদের ব্যাপক উপস্থিতি চোখে পড়ে। টং দোকান, ভ্রাম্যমাণ ভ্যান ও অস্থায়ী খাবারের স্টল বসিয়ে রেখেছিলেন অনেকেই। এতে করে শুধু নেতাকর্মীদের চলাচলই নয়, আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাকেন্দ্র—বারডেম, বিএমইউ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাতায়াতে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছিল, বিশেষ করে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পরিবহনে।

এই পরিস্থিতি সামাল দিতে নিজে নেতৃত্বে দিচ্ছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন। তার তত্ত্বাবধানে সমাবেশস্থলের আশপাশ থেকে হকারদের সরিয়ে দিতে শুরু করেন ছাত্রদলের একাধিক কর্মী। তারা হকারদের অনুরোধ করে সরে যেতে বলেন, যাতে করে নেতাকর্মীরা নির্ধারিত স্থানে অবস্থান নিতে পারেন এবং জরুরি যানবাহনের চলাচল ব্যাহত না হয়।

ভিড় সামলাতে হকার সরাচ্ছেন নেতারা, স্বস্তি কর্মীদের

ছাত্রদলকর্মী তারেক বলেন, ‘আমরা মোহাম্মদপুর থেকে এসেছি দলের ভালোবাসায়। কিন্তু মঞ্চের সামনে যেতে পারছিলাম না হকারদের কারণে। এখন হকাররা সরে যাওয়ায় সেই সুযোগ তৈরি হয়েছে।’

আরও পড়ুন

আরেক কর্মী সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘অনেক নারী নেতাকর্মী প্রবেশ করতে পারছিলেন না। পাশাপাশি অ্যাম্বুলেন্স চলাচলেও সমস্যা হচ্ছিল। সাধারণ সম্পাদক নাসির ভাইয়ের উদ্যোগে হকারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে উভয় পক্ষই স্বস্তিতে আছে।’

হকাররা প্রথমে কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করলেও পরে পরিস্থিতি বুঝে সহযোগিতা করেন। তবে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি বিরাজ করছে। অনেকেই জানাচ্ছেন, এই উদ্যোগে নারীনেত্রীদের মঞ্চসংলগ্ন জায়গায় বসার সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা এর আগে সম্ভব হচ্ছিল না।

এক ছাত্রদলকর্মী বলেন, ‘শাহবাগ এলাকায় বারডেম, বিএমইউ, ঢাকা মেডিকেল—সবই আশপাশে। প্রতি ১০–১৫ মিনিট পরপর অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করে। সেই জায়গায় হকারদের ভ্যান বা দোকান থাকলে সমস্যা হয়ই। ছাত্রদল নেতৃত্ব সময়মতো বিষয়টি বুঝে ব্যবস্থা নিয়েছে, এটি প্রশংসনীয়।’

ছাত্রদলের এই উদ্যোগে যেমন নেতাকর্মীদের জন্য বসার ও চলাচলের স্বস্তি এসেছে, তেমনি জরুরি সেবায় নিয়োজিত পরিবহনগুলোও স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে।

ইএআর/বিএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।