আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে গর্বিত: রেজা কিবরিয়া
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিতে যোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আমি বিএনপিতে যোগ দিয়ে খুবই গর্বিত। বিএনপিতে আজকে ফরমালি জয়েন করলাম। এই দলটার ইতিহাস হলো গণতন্ত্রের ইতিহাস। দুই দুইবার তারা গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ থেকে।
তিনি বলেন, একবার শেখ মুজিবের গণতন্ত্র ধ্বংস…সেখান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এটাকে রক্ষা করলেন। আর দ্বিতীয়বার শেখ হাসিনা-জেনারেলের এরশাদের সঙ্গে গণতন্ত্র ধ্বংস এবং বেগম খালেদা জিয়া যিনি এখন অনেক অসুস্থ…সবাই দোয়া করবেন উনার জন্য। উনি আবার এটা রক্ষা করলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ভূমিকা। একটা দল দুইবার বহুদলীয় গণতন্ত্র রক্ষা করেছে। আমি ইতিহাসে এ রকম কোনো উদাহরণ অন্য কোনো দেশে দেখি না। এসব কারণে আমি বিএনপির প্রতি আকৃষ্ট এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমার আদর্শ। উনার সাহস, ব্যক্তিগত চরিত্র, সততা এগুলো নিয়ে এত বছর পরও সবাই এখনো গর্ব করে। উনি যে কোয়ালিটির ছিলেন, যে এত বছর পরও গ্রামের লোক উনার কথা বলে যে, এ রকম মানুষ আর বাংলাদেশে জন্মাবে না হয়তো।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন তিনি।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমরা মনে করি যে বিএনপি এখন যেই নেতৃত্বে আছে এবং যারা আছেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা আমাদের দেশের নতুন প্রজন্মকে তাদের সব স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। তাদের যে ভিশন দেশের জন্য এটা আগের ভিশন না। অনেক কিছু বদলে গেছে।
তিনি বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উনার যে রক্ত এটা কোন কোয়ালিটির আপনারা যদি চিন্তা করেন…. উনার বাপ কি ছিলেন এবং মা কি আছেন… এটা ইনক্রেডিবল, এটা বাংলাদেশে আর কারো ওই কোয়ালিটির ব্লাড লাইন নাই আপনাদের বলতে পারি। আমরা সবাই উনাকে (তারেক রহমান) সাহায্য করব একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।
তিনি বলেন, আমার ধারণা উনি বিদেশে আছেন এটা একদিক থেকে দুঃখজনক আমাদের দেশের মানুষের কাছে নাই।
আরেকদিক থেকে আমি এটাতে খুশি যে, উনি (তারেক রহমান) বিদেশের সব কোয়ালিটি, সব প্রশাসনিক সব জিনিসগুলো উনি দেখছেন, শিখছেন এবং সেইগুলো বাংলাদেশে উনি আনবেন আমি এটা আশা করি। আমি মনে করি উনার ইংল্যান্ডে থাকাও দেশের মানুষের জন্য একটা লাভজনক জিনিস। উনি অনেক কিছু নিয়ে আসবেন এ দেশে যেটা আগে ছিল না।
রেজা কিবরিয়া বলেন, বাংলাদেশটাকে উন্নত করতে এশিয়ার মধ্যে প্রথম তিন দেশের মধ্যে আনতে অসম্ভব কিছু না। আপনারা ভাবছেন, আমি কি রূপকথার মতো বলছি। এটা পরে দেখবেন। ‘আমি ৩৫টা দেশে কাজ করেছি প্রায় ৪০ বছর। আপনাদের বলতে পারি, আমাদের দেশের মানুষের কোয়ালিটি এটা হলো ‘টপ ক্লাস’ এবং এই মানুষগুলোকে দিয়ে একটা ‘টপ ক্লাস’ দেশ প্রথম সারির দেশ তৈরি করা যাবে ইনশাল্লাহ।
বিএনপিকে এই সুযোগটা যদি ভোটাররা দেয় তাহলে আপনারা দেখবেন তারা কী পারে এই দেশের জন্য এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর জন্য তারা কী করতে পারবে আপনারা তখন দেখতে পারবেন। আমি আশা করি আমার এলাকায় নবীগঞ্জ-বাহুবল সেখানে আমার কাজ করার একটা সুবিধা হবে এবং যদি উনারা মনে করেন জাতীয় কোনো জায়গায় আমাকে কাজ করতে সুযোগ দেওয়ার। আমি চাই, দেশের জন্য কাজ করতে। আমি খুব ভালো চাকরি ছেড়ে এসেছি। আপনারা জানেন আইএমএফের চাকরির লাভজনক লোভজনক একটা চাকরি। সেই চাকরি ছেড়ে আমি আসছি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। এটা ছিল আমার বাবার স্বপ্ন। আমি আশা করি সেটা পূরণ করতে পারবো।
বিএনপিতে যোগদানের জন্য রেজা কিবরিয়াকে ফুল দেন বিএনপি মহাসচিব। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদও যোগদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
কেএইচ/এমআরএম/জেআইএম