‘খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন কোনটা?’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৩ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২১

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্মদিনের সঠিক তথ্য জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

তিনি বলেন, আসলে খালেদা জিয়ার আসল জন্মদিন কোনটা? যে জন্মদিনের সঠিক তথ্য দিতে পারে না, জাতির শোকের দিনে আনন্দ উল্লাস করে বিকৃত ও বিভ্রান্তির রাজনীতি করে তাদের জনগণ বয়কট করেছে, করবে।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়ার জন্মদিন জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়ে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জন্য শোকের দিন। এদিন খুনিরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৮ জন মানুষকে হত্যা করেছিল। ১৯৯৬ সাল থেকে খালেদা জিয়া এই শোকের দিনে আইএসআই’র পরামর্শে জন্মদিন পালন শুরু করেন। তবে কোনো কাগজপত্রে তার জন্মদিন ১৫ আগস্ট নেই।

তিনি বলেন, এসএসসি পরীক্ষার মার্কসিট অনুযায়ী খালেদা জিয়ার জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। আর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ৯ আগস্ট। ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট। কিন্তু খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ-উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। করোনা টেস্টের যে রিপোর্ট ফেসবুকে ছড়িয়েছে তাতে তার জন্মদিন উল্লেখ রয়েছে ৮ মে ১৯৪৬ সাল।

jagonews24

যারা বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি, তারাই ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, হত্যাকারীরা শুধু জাতির পিতাকে হত্যা করেনি, তারা হাজার বছরের স্বপ্ন আশা আকাঙ্ক্ষাকে হত্যা করেছিল। তারা দেশকে পাকিস্তানের আদলে বানানোর জন্য মিলিত হয়েছিল।

কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের দুইবারের নির্বাচিত সাবেক এই মহাসচিব ও সভাপতি বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্তরসূরি বিএনপি-জামায়াত। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অপকৌশল নিচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করার জন্য নানাভাবে অপচেষ্টা করছে। এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টাকারী বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে সচেতন থাকতে হবে। তারা বাংলাদেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছিল। এরা বাংলাদেশের উন্নতি দেখে আঁতকে ওঠে। সকল মাপকাঠিতে বাংলাদেশ আজ ইমারজিং টাইগার। তারা উন্নয়ন রুখে দিতে চায়। এরা আমাদের ধ্বংসের অতল গহ্বরে নিয়ে যেতে পারলে খুশি হয়।

তিনি আরও বলেন, যারা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদদের মধ্যে বিভক্তি টানতে চায় তাদের ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে। এরা সুযোগসন্ধানী। জাতির পিতার আদর্শ এদের মধ্যে নেই। মোশতাক জাতির পিতার পাশে থেকেই তাকে হত্যা করেছিল। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ থাকুন। এদের ষড়যন্ত্রের রাজনীতি, দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি থেকেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো অপশক্তির বিরুদ্ধে আমরা রুখে দাঁড়াব। ছয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যবদ্ধ থাকলে বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে কৃষিবিদরা শুভশক্তি হিসেবে থাকতে পারবে।

বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শহীদুর রশিদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সহায়তা কার্যক্রমে আরও উপস্থিত ছিলেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইদুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রমুখ।

এসইউজে/জেডএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।