ষড়যন্ত্র কত প্রকার ও কী কী, জিয়া পরিবার থেকে শিখতে পারবেন: মায়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:১৪ পিএম, ২০ আগস্ট ২০২২

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর কয়েকজনকে নিয়ে গেছি মেডিকেলে, কিন্তু সেখানে কোনো ডাক্তার নাই। সব ডাক্তার চলে গেছে। ব্লাড ব্যাংকে গেছি, কিন্তু ব্লাড ব্যাংকও তালা দিয়ে সবাই চলে গেছে। চিকিৎসা পেলে হয়তো অনেককেই বাঁচাতে পারতাম। কিন্তু চিকিৎসার অভাবে অনেকে মারা গেছে। ষড়যন্ত্র কত প্রকার ও কী কী তা যদি শিখতে চান, তাহলে জিয়া পরিবার থেকে শিখতে পারবেন।

শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুর ১২টায় রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলাকারী ও হামলার পরিকল্পনাকারীদের দ্রুত বিচারের রায় কার্যকর করার দাবিতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মায়া বলেন, অমাবস্যা-পূর্ণিমা হলে এখনো সারা শরীরে ব্যথা ওঠে। রক্তবমি হয়, চোখ ফুলে যায়। এখনো শরীর থেকে স্প্লিন্টার বের হয়। অনেকে বলে মরে গেলেই ভালো হইতো। রাতে ঘুমাইতে পারি না ১৮ বছর। আর ওই খুনি পরিবার রাজনীতি করে বাংলাদেশের ক্ষমতায় যেতে চায়। গায়ে এক ফোটা রক্ত থাকতে খালেদা জিয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন হতে দেবো না।

মায়া আরও বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধ করে নাই। ওর মুখোস ছিল। তার পরিবারটা হলো স্বাধীনতাবিরোধী পরিবার। জিয়া বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করছে, তারপর জেলে চার নেতাকে হত্যা করেছে। তার ছেলে তারেক জিয়া শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে শেষ করতে চাইছে। জিয়া পরিবার বঙ্গবন্ধু পরিবারকে ধ্বংস করে দিতে চায়। এই পরিবারের বাংলাদেশে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ নাই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আহত-নিহত পরিবার কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহেদ আলম মুরাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাল্যামনাই এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওসার প্রমুখ।

আরএসএম/এমএইচআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।