বিদেশি সবজি চাষেও সফল পেঁপে বাদশা


প্রকাশিত: ১১:০৬ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের চাষি আলহাজ শাহজাহান আলী পেঁপে বাদশা আধুনিক ও বিদেশি সবজি চাষ করে সফল এবং আলোচিত হয়েছেন। গতানুগতিক ফল বা সবজি নয়, নতুন কিছু সৃষ্টিতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখেন কৃষক শাহজাহান আলী।

এর আগে পেঁপে চাষ করে সফলতার কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রপতি ব্রোঞ্জ পদক এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় রোপ্য ও স্বর্ণ পদকে ভূষিত হয়েছেন ঈশ্বরদীর সফল চাষি আলহাজ শাহজাহান আলী পেঁপে বাদশা। সেই থেকে এলাকার মানুষেরা তাকে পেঁপে বাদশা হিসেবে চেনেন এবং জানেন। পেঁপে নয় ব্রোকলী, চাইনিজ ক্যাবেজ, লাল বাঁধাকপি, রঙিন লেটুস, সবুজ লেটুস ও লেটুস চাষ করে এবার সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। বাণিজ্যিকভাবে এই বিদেশি সবজিগুলো চাষ করে যে লাভবান হওয়া যায় সেটাই প্রমাণ করেছেন আধুনিক এই কৃষক।

তার মালিকানাধীন মা-মণি কৃষি খামারে উৎপাদিত এই সবজিগুলো রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত দোকানে বিক্রি শুরু হয়েছে, দামও পাচ্ছেন অন্য সবজির চাইতে বেশ ভালো।

সরেজমিনে মা-মণি কৃষি খামার পরিদর্শন করে দেখা গেছে, ব্রোকলী, চাইনিজ ক্যাবেজ, লাল বাঁধাকপি, রঙিন লেটুস, সবুজ লেটুস ও লেটুস প্রচুর পরিমাণে ধরে আছে। মা-মণি কৃষি খামারের শ্রমিকেরা প্রতিদিন বিক্রি যোগ্য এসব সবজি উত্তোলন করছেন।
 
ঈশ্বরদী কৃষি পণ্য উৎপাদনে বিখ্যাত ও অন্যতম এলাকা হিসেবে পরিচিত। ঈশ্বরদীতে গতানুগতিক বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি ও ফসলের ব্যাপক চাষাবাদ থাকলেও বিশ্বমানের আধুনিক সবজি চাষে এটিই প্রথম খামার।

এ ব্যাপারে শাহজাহান আলী ওরফে পেঁপে বাদশা জাগো নিউজকে জানান, আমাদের দেশের কৃষকেরা গতানুগতিকভাবে সবজি চাষ করে থাকেন। দেশিয় সবজি চাষ করে সঠিক মূল্য পাওয়া যায় না। এদেশে বিদেশি সবজির প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে, নতুন কিছু সৃষ্টিতে আমি সব সময় আগ্রহী তাই এবার আমার খামারে এগুলো চাষ করেছি। বাজারে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে, মূল্যও অনেক বেশি।

এ বিষয়ে ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. হাসানুল কবীর কামাল বলেন, শাহজাহান আলী আধুনিক মানের বিদেশি সবজি চাষ করে যে বিস্ময় সৃষ্টি করেছেন তা সত্যিই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

আলাউদ্দিন আহমেদ/এফএ/এআরএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।