বিদায়ী ইনিংসেও বিরল রেকর্ড ম্যাককালামের
রেকর্ড গড়ার নেশা কার না থাকে। তাই বলে বিদায়ী ম্যাচেও একের পর এক রেকর্ড গড়ে বসে থাকবেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, তা কে ভাবতে পেরেছিল! তিনি নিজেও যে ধারনা করতে পারেননি। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৪ বলে টেস্টের দ্রুততম সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর বিদায়ী ইনিংসেও রেকর্ড গড়ে গেলেন কিউই অধিনায়ক।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। ৭২ রানের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পর ম্যাককালামা মাঠে নামেন ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংসটা খেলার জন্য। দলকে বাঁচানোর জন্য প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসেও অনেক দায়িত্ব তার কাঁধে। কিন্তু স্বভাবসূলভভাবেই ম্যাককালাম বিধ্বংসী হয়ে উঠলেন। ২৭ বলে খেললেন ২৫ রানের ইনিংস। ঠিক বিধ্বংসী বলা যাবে না হয়তো, কিন্তু তার ক্যারিয়ার যে পুরোটাই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে পূর্ণ, সেটারই খানিকটা প্রতীক হয়ে থাকলো এই ইনিংস। ২৫ রানের ১৮টিই যে এসেছে তার চার আর ছক্কায়!
২৭ বলে ২৫ রান করার পর জস হ্যাজলউডকে উঁচিয়ে খেলতে গিয়ে ডেভিড ওয়ার্নারের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হলেন ম্যাককালাম। তার আগেই বিরল এক বিশ্বরেকর্ড গড়ে ফেললেন ব্ল্যাক ক্যাপস দলপতি। অধিনায়ক হিসেবে জীবনের সর্বশেষ টেস্টে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন তিনিই। প্রথম ইনিংসে ১৪৫, দ্বিতীয় ইনিংসে ২৫। বিদায়ী টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ম্যাককালামের রান ১৭০। অধিনায়ক হিসেবে বিদায়ী টেস্টে এটাই সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড।
ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে আর কোনো ক্রিকেটারের এত রানের কীর্তি নেই। আগের রেকর্ডটাও ৮৫ বছরের পুরোনো। ১৯৩০ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক কার্ল নানেস নিজের শেষ টেস্টে দুই ইনিংস মিলে করেছিলেন ১৫৮ রান (৬+৯২)। আবার অধিনায়ক হিসেবে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে সেঞ্চুরি করা প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটারও হলেন ম্যাককালাম।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াও রেকর্ড গড়লো। ৫০৫ রানে অলআউট হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া ২০১৫-১৬ মওসুমে মোট ৬টি ৫০০প্লাস ইনিংস খেললো। কোন এক মওসুমে যেটা কোন দলের জন্য সবচেয়ে বেশি। এছাড়া এক মওসুমে ৫০০ প্লাস ইনিংস খেলেছে চারটি দেশ। ২০০১-২০০২ মওসুমে সাত টেস্টে শ্রীলংকা খেলেছিল পাঁচটি ৫০০ প্লাস ইনিংস, ২০০২ সালে ইংল্যা্ন্ড সাত টেস্টে, ভারত ২০০৩-০৪ মওসুমে নয় টেস্টে এবং ২০০৭-০৮ মওসুমে দশ টেস্টে পাঁচটি ৫০০ প্লাস ইনিংস খেলেছিল।
সফরকারী দল হিসেবে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে একই সিরিজে দুটি ৫০০ প্লাস ইনিংস খেলার সাহস দেখালো অস্ট্রেলিয়া। এরআগে আরও একবার একই কাণ্ড ঘটাতে পেরেছিল ইংল্যান্ড, ১৯৩২-৩৩ মওসুমে। সেবার এক ইনিংসে ৮ উইকেটে ৫৬০ এবং অপর ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪৮ রান করেছিল ইংলিশরা।
আইএইচএস/আরআইপি