শেখ জামাল হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:০৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল ২০২৩

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ জামালের হত্যাকারীদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ছিলেন এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। দুঃখজনক হলেও সত্য, আজও তারা আস্ফালন করে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

শেখ জামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে নিহত হন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে শহীদ শেখ জামালের শুভ জন্মদিন। জন্মদিনে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শহীদ শেখ জামাল ১৯৭১ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা এবং শেখ রাসেলের সঙ্গে পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি ছিলেন। সেই বন্দিদশা থেকে তিনি পালিয়ে গিয়ে, পায়ে হেঁটে নানাভাবে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আগরতলা গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, শেখ জামাল দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। তিনি সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হয়েছিলেন। বিশ্ববিখ্যাত সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট থেকে তিনি প্রশিক্ষণ নেন। শেখ জামাল একজন মেধাবী তরুণ ছিলেন। একই সঙ্গে সংস্কৃতিমনা মানুষ ছিলেন, সংস্কৃতিচর্চা করতেন। খেলাধুলার প্রতি তার গভীর অনুরাগ ছিল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ জামালের হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একজন মেধাবী তরুণকে হারিয়েছিল। একজন সম্ভাবনাময় তরুণ, যিনি দেশকে অনেক কিছু দিতে পারতেন। দেশ গঠনে অবদান রাখতে পারতেন। তাকে হত্যা করা হয়েছে।

এসময় আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আওলাদ হোসেন শামিম, দলের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আইএইচআর/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।