মালয়েশিয়ার ঘাঁটিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ
মালয়েশিয়ার রাজকীয় নৌঘাঁটি ন্যাশনাল হাইডোগ্রাফি জেটি পোর্ট ক্লাংয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ অবতরণ করেছে। চীন থেকে ক্রয়কৃত বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ওমর ফারুক ও আবু উবায়দা ২ জানুয়ারি এক শুভেচ্ছা সফরে পোর্ট কেলাংয়ে আগমন করে।
জাহাজ দুটি ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশের পথে রওয়ানা হবে বলে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। মালয়েশিয়া নৌ বাহিনীর বিভিন্ন ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত এবং জাহাজ ও ঘাঁটিতে পারস্পরিক সফরের কর্মসূচি রাখা হয়।

জাহাজ দুটির প্রজেক্ট অফিসার কমডোর এম রাশেদ আলী, বিএনএস ওমর ফারুকের অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এস এম আতিকুর রহমান এবং বিএনএস আবু উবায়দার অধিনায়ক ক্যাপ্টেন এম মইনুল চৌধুরীসহ জাহাজের অন্যান্য অফিসাররা রয়েল মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীর বিভিন্ন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। প্রতিবছর সৌহার্দ্য সফরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের নৌবাহিনী জাহাজের আগমন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি এবং সর্বোপরী দুই দেশের ভ্রাতৃপ্রতীম সম্পর্ককে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়।

বাংলাদেশের নৌবাহিনী জাহাজের মালয়েশিয়া আগমনের ফলে দুই দেশ ও নৌবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যে রয়েল মালয়েশিয়া নৌবাহিনী, জাহাজ দুটির কর্মদক্ষতা ও সৌজন্যতার ভূয়সী প্রশংসা করে যা মালয়েশিয়া সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে প্রকাশ পায়।
জাহাজ দুটির সম্মানার্থে রয়েল মালয়েশিয়া নৌ বাহিনী ৩ জানুয়ারি ন্যাশনাল হাইড্রোগ্রাফিক জেটি, অফিসার মেসে এক অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঐতিহ্য বজায় রাখার জন্য ওমর ফারুক ও আবু উবায়দা ৩ জানুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে রয়েল মালয়েশিয়া নৌবাহিনীর রিয়াল অ্যাডমিরাল আনোয়ার বিন মোহাম্মদ এবং মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনের মহ. শহিদুল ইসলাম, বিশেষ অতিথির আসন অলংকৃত করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মোস্তাক আহম্মেদ, মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনী, বাংলাদেশ হাইকমিশনসহ অতিথিরা সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন।
এমআরএম/এমকেএইচ