অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকানো বব কাউপার মারা গেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩১ পিএম, ১১ মে ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকানো কিংবদন্তি বব কাউপার মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর আজ রোববার ইহলোক ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। স্ত্রী ডেল এবং দুই কন্যা ওলিভিয়া ও সেরাসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি।

কাউপার ব্যাট হাতে ধৈর্যসহ উইকেটে দাঁড়িয়ে মসৃণ শট ও বড় ইনিংস খেলার দক্ষতার জন্য পরিচিত। তার ২৭ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্তটি এসেছিল ১৯৬৬ সালে। ওই সময় মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। যা ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি। কাউপারের ইনিংসের ওপর ভর করে অ্যাশেজ ধরেছিল অস্ট্রেলিয়া।

১৯৬৪ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত ২৭ টেস্ট ম্যাচে ৪৮.১৬ গড়ে ২০৬১ রান করেছিলেন কাউপার। যার মধ্যে ছিল পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে। মাত্র ২৮ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ব্যবসায় ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।

ভিক্টোরিয়ার হয়ে কাউপার ৮৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছিলেন এবং তার সময়কালে রাজ্যের ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আইসিসির ম্যাচ রেফারি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩ সালে ক্রিকেটে অবদানের জন্য অস্ট্রেলিয়ান সম্মাননা ‘মেডাল অব দ্য অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ অর্জন করেন।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা গভীর শোকের সঙ্গে জানাচ্ছি, অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব বব কাউপার আর আমাদের মাঝে নেই। তিনি একজন দারুণ ব্যাটার ছিলেন, যাকে এমসিজিতে করা তার ঐতিহাসিক ট্রিপল সেঞ্চুরির জন্য সবসময় মনে রাখা হবে। পাশাপাশি ১৯৬০ এর দশকে অস্ট্রেলিয়া এবং ভিক্টোরিয়া দলের ওপর তার প্রভাবও স্মরণীয়।’

‘তিনি ক্রিকেটে অন্যান্য ভূমিকাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, বিশেষ করে আইসিসি ম্যাচ রেফারি হিসেবে এবং তার প্রজ্ঞা সবসময়ই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আমরা ববের পরিবার, বন্ধু ও সাবেক সতীর্থদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি’- যোগ করেন মাইক বেয়ার্ড।

এমএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।