দিল্লিতে ভয়, অসিদের মতো উইলিয়ামসনরাও ছুটলেন মালদ্বীপে
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে পড়েছিল আগেই। টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া একের পর এক খেলোয়াড় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায়, শেষতক হাজার কোটি টাকার এ আয়োজন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতই করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
মাঠের খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাড়ি ফেরার পথ ধরতে শুরু করেছেন আইপিএলের বিদেশি ক্রিকেটাররা। এরই মধ্যে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন বেশিরভাগ ক্রিকেটার। কিন্তু ঝামেলায় পড়েছেন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
কারণ, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় তাদের দেশের সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। বিশেষ করে ভারতের মতো করোনা জর্জরিত দেশ থেকে কাউকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। এ সমস্যা সমাধানে ভারত থেকে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার বদলে আগে মালদ্বীপ গেছেন অসি ক্রিকেটাররা।
তবে নিউজিল্যান্ডের তিন ক্রিকেটার কেইন উইলিয়ামসন, মিচেল স্যান্টনার ও কাইল জেমিসন এবং টিম স্টাফ টমি সিমসেক প্রথমে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতেই থাকার। সেলক্ষ্যে দিল্লিতে একটি মিনি বায়ো সিকিউর বাবল বানিয়ে ১০ মে পর্যন্ত সেখানেই থাকার কথা ভেবেছিলেন তারা।
কিন্তু দিল্লি তথা গোটা ভারতে করোনার থাবার ভয়ে সেই মিনি বাবলে থাকেননি উইলিয়ামসনরা। দিল্লির মিনি বাবল ছেড়ে তারাও ধরেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের পথ, চলে গেছেন মালদ্বীপে। সেখান থেকেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলতে ইংল্যান্ড যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) খবরে জানা গেছে এ তথ্য। সানরাইজার্স হায়দরবাদের এক কর্মকর্তা পিটিআইকে বলেছেন, ‘উইলিয়ামসন ও কয়েকজন কিউই ক্রিকেটার দিল্লিতে সাহস পাচ্ছিলেন না। তাই তারা মালদ্বীপে চলে গেছেন।’
অসমাপ্ত আইপিএলের দ্বিতীয় অংশে ডেভিড ওয়ার্নারের বদলে অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন উইলিয়ামসন। এছাড়া স্যান্টনার ছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসে এবং জেমিসন এবারই প্রথম আইপিএল খেলেছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জার্সি গায়ে।
এসএএস/এমকেএইচ