পদত্যাগ নয়, চুক্তি নবায়ন করেননি টাইগারদের ফিজিও

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৫৩ রান করেছে বাংলাদেশ। এর মূল কৃতিত্ব লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করে ১১৩ রানে অপরাজিত লিটন। মুশফিক দিন শেষ করেছেন ৮২ রানে।
সেঞ্চুরি করার পথে ৯৬ রানের পর বাম হাতে ক্র্যাম্প হয় লিটনের। তখন ডাগআউট থেকে ছুটে আসেন ফিজিও বায়োজিদ ইসলাম। অথচ টি-টোয়েন্টি সিরিজেও খেলোয়াড়দের ইনজুরির ক্ষেত্রে ছুটে আসতে দেখা গেছে টাইগারদের দক্ষিণ আফ্রিকান ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতোকে।
কিন্তু আজ কেন ক্যালেফাতোর বদলে এলেন বায়োজিদ। এমন প্রশ্ন জাগতে পারে যে কারও মনে। উত্তর অবশ্য সকালেই দিয়েছেন ক্যালেফাতো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে নিজের প্রোফাইলে ক্যালেফাতো জানিয়েছেন, বিসিবির সঙ্গে আর কাজ করছেন না তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ পর্যন্তই ছিল তার দায়িত্বকালের মেয়াদ।
তবে খবর চাউর হয়ে যায়, নিজের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন ক্যালেফাতো। এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে। তার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়, জুলিয়ান ক্যালেফাতো কি পদত্যাগ করেছেন?
উত্তরে আকরাম বলেছেন, ‘না না! ব্যাপারটা অমন নয়। ক্যালেফাতোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি ছিল নভেম্বর পর্যন্ত। আমরাও চুক্তি নবায়ন করতে চাইনি। ক্যালিফাতোও থাকার ইচ্ছে প্রকাশ করেনি। তাই তার চুক্তিটা আর নবায়ন হয়নি। এখানে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়ার কিছু নেই।’
২০১৯ সালের আগস্টে ফিজিওর দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইতালির যৌথ নাগরিক ক্যালেফাতো। তখন তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্তই। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে শেষ হয়ে গেছে সেই চুক্তি। দুই পক্ষ আর চুক্তি নবায়ন করেনি।
উল্লেখ্য, নিজের ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ হওয়ার খবর জানিয়ে বিশদ বিবৃতিতে ক্যালেফাতো লিখেছেন, ‘আমার ইনিংসটি শেষ হলো। বিসিবির সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমি সেটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অতিমারির এই সময় আন্তর্জাতিক ভ্রমণে আমাদের সঙ্গী জৈব সুরক্ষাবলয়ের জীবন। কোয়ারেন্টিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়াটা ছিল সব সময়ই কঠিন। এটি একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ। গত ১৮ মাসে ১০০’র বেশিবার আমি করোনা পরীক্ষা করিয়েছি। এটা করতে করতে আমার নাকে এখনো ব্যথা।’
‘আমি বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এমন একটা সুযোগ আমাকে দেওয়ার জন্য। বাংলাদেশ দলে আমার সঙ্গীদের সঙ্গেও তৈরি হয়েছে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। আমি বাংলাদেশ দলের ফিজিও থাকাকালীন কিছু অর্জন আছে আমার। ভারতে দিনরাতের টেস্টে গ্যালারিভর্তি দর্শকের সামনে দলের খেলার কথাটা মনে পড়ছে। সে খেলায় গ্যালারির দর্শকের চিৎকার এখনো আমার মাথায় ঘোরে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয়- এটাও ভীষণ গর্বের।’
এআরবি/এসএএস/এমএস