মুমিনুলের মতে তাদের ব্যাটিং ঠিকই ছিল

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৫৮ পিএম, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

টেস্টে ৩০৪ রান মোটেই বড় স্কোর নয়। এরচেয়ে অনেক বেশি রান করেও ম্যাচ হারার নজির আছে ভুরি ভুরি। প্রথম ইনিংসে ৩০০’র আশপাশে থেকে ইনিংস পরাজয়ের রেকর্ডও প্রচুর। সেখানে প্রথম ইনিংসে ওই ৩০০ রান করে ইনিংস ও ৮ রানের জয়- পাকিস্তানিদের আনন্দ আর ধরে না। খেলা শেষে বাবর আজমের দলের উচ্ছ্বাস-উল্লাস দেখে মনে হলো রাজ্য জয়ের আনন্দে বিভোর তারা।

অন্যদিকে কবর নিস্তবদ্ধতা বাংলাদেশ ড্রেসিং রুমে। আড়াই দিনেরও কম সময়ে টেস্ট হারা সম্ভব- এই অসম্ভব কাজটি আসলে করে দেখিয়েছে মুমিনুল হকের দল। এমন হার যে কোন হিসেব, ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে অনেক বড় ব্যর্থতার। সেই পরাজয়ের গায়ে আরও কাল দাগ হয়ে দেখা দিয়েছে চতুর্থ দিন ৮৭ রানে অলআউট হওয়া এবং অযথা-অপ্রয়োজনে ধৈর্য্য হারা হয়ে মারতে গিয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরা।

বাংলাদেশের অন্ধ সমর্থকও গতকাল চতুর্থ দিন প্রিয় জাতীয় দলের ব্যাটিং অ্যাপ্রোচ দেখে যারপরনাই হতাশ। মাত্র ৪ সেশন উইকেটে কাটিয়ে দিতে পারলেই যে ম্যাচ ড্র করা সম্ভব, সেখানে প্রথম ইনিংসে কেন এই বেপরোয়া মানসিকতা আর তেড়েফুঁড়ে ব্যাট ছোড়া?

মেলানো কঠিন। মুমিনুল বাহিনীর এমন বলগাহীন অ্যাপ্রোচকে কেউ সমর্থন করেননি। সবাই বিস্মিত, হতবাক- এ কেমন অ্যাপ্রোচ? কিন্তু আরও বিস্ময়কর হলো অধিনায়ক মুমিনুল হক মনে করেন, সে অ্যাপ্রোচ ঠিকই ছিল।

আজ বুধবার খেলা শেষে জুম কনফারেন্সে বাংলাদেশ অধিনায়ক ব্যাটিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করেন অ্যাপ্রোচ ঠিকই ছিল। অন্যদের সমালোচনা না করে বরং ব্যর্থতার দায়ভার নিজের কাঁধেই তুলে নিয়েছেন মুমিনুল।

তার ব্যাখ্যা, ‘এটা যদি প্রথম ইনিংসের কথা বলেন, দেখেন আমারটাই সিলি মিসটেক ছিল। আমার হয়ত তাড়াহুড়ো করে রান নেয়া উচিত হয়নি।’

কিন্তু বাকি সবাই মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন এমন মানতে নারাজ মুমিনুলের কথা, ‘ওই উইকেটে মুশফিক ভাই ও লিঠনকে সমর্থন করবো। কারণ তখন উইকেটে বল ঘুরছিল অনেক। ওই উইকেটে ওরা যে টার্গেটটা নিয়েছিল যেমন মুশফিক ভাই স্কয়ার অব দ্য উইকেটে মেরেছিল দুর্ভাগ্যবশত সংযোগ হয় নাই। আসলে এসব উইকেটে বেশি রক্ষণাত্মক খেললে কঠিন হয়ে যায়।’

অ্যাপ্রোচ নিয়ে মুমিনুলের শেষ কথা, ‘বাকিদের না, মনে হয় আমার উইকেটটা বেশি বাজে ছিল। ওই সময় এসব রান না নেয়াটা বেটার।’

আজ মুশফিকও রান আউট হয়েছেন। সে রান আউটের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘কোন ভুল বোঝাবুঝি না, আসলে মুশফিক ভাইয়ের রানআউটটা ছিল দূর্ভাগ্যজনক। তার ব্যাটটা নিচে (মাটিতে) থাকলে হয়তো মুশফিক ভাই বেঁচে যেতেন।’

বাবর আজমের প্রথম টেস্ট উইকেট মেহেদী হাসান মিরাজ। এ ম্যাচের আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যিনি বোলিংই করেননি আগে, সেই পাকিস্তান ক্যাপ্টেনের বলে মিরাজের আউট হওয়াটাকে কিভাবে দেখছেন?

মুমিনুলের জবাব, ‘এটা কিছুটা চাপে। সাকিব ভাই-মিরাজ চাপটা কাটিয়ে উঠেছিল। এখানে হয়ত শট সিলেকশনে সমস্যা ছিল। আমার কাছে মনে হয় রাইট আর্ম স্পিনারকে বেশি ডিফেন্সিভ খেলতে গিয়ে আউট হয়েছে। একটু পজিটিভ হয়ে মারলে ঠিক ছিল।’

এআরবি/আইএইচএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।