দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৭ হাজারি ক্লাবে সাকিব

মাইলফলকে পৌঁছাতে সাকিব আল হাসানের প্রয়োজন ছিল কেবল ২৪ রান। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে সেই ২৪ রান তুলতে কোনোই বেগ পেতে হলো না।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ২০তম ওভারে কার্টিস ক্যাম্পারের ৫ম বলটিকে মিড অফে আলতো ড্রাইভে বলটা ঠেলে দিয়েই এক রান নিলেন সাকিব। সে সঙ্গে তামিম ইকবালের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী ব্যাটার হিসেবে ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছে গেলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে পৌঁছেছিলেন দারুণ ব্যাক্তিগত মাইলফলকে। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে ৬ হাজার রান প্লাস ৩০০ উইকেট নেয়ার রেকর্ড গড়েন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের আগে কেবল ২ জনই রয়েছেন, যারা ৬ হাজার রান এবং ৩০০ প্লাস উইকেট নিয়েছেন। তারা হলেন সনাৎ জয়সুরিয়া এবং শহিদ আফ্রিদি।
বোলার হিসেবে তো উইকেট নেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সবার শীর্ষেই রয়েছেন। সঙ্গে ব্যাটার হিসেবে এবার তামিমের পর ৭ হাজার রান করে নতুন রেকর্ড গড়লেন সাকিব।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের রান অবশ্য এরই মধ্যে ৮ হাজার পার হয়ে গেছে। ২৩৫ ম্যাচে ২৩৩ ইনিংস খেলে ৩৬.৬৯ গড়ে ৮১৪৬ রানের মালিক তামিম। সাকিব আল হাসান এরই মধ্যে (এ রিপোর্ট লেখার সময়) আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে করেছেন ৪৬ রান। অর্থ্যাৎ, নিজোর মোট রানের সংখ্যাটা বাড়িয়েই চলেছেন তিনি।
২২৮ ম্যাচে সাকিব খেলেছেন ২১৬ ইনিংস। এর মধ্যে ৩৭.৯৫ গড়ে সাকিবের রান হয়ে গেছে ৭ হাজার ২২। সেঞ্চুরি ৯টি। হাফ সেঞ্চুরি ৫২টি। সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ১৩৪*।
আরও একজন বাংলাদেশী ব্যাটার ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছার অপেক্ষায়। তিনি মুশফিকুর রহিম। এরই মধ্যে তার রান হয়ে গেছে ৬৯০১। আর কেবল ৯৯ রান হলেই ৭ হাজার রানের মাইলফলকে তৃতীয় বাংলাদেশী হয়ে যাবেন মুশফিক।
আইএইচএস/