বার্সায় মেসির আইকনিক ১০ নম্বর জার্সি পেলেন ইয়ামাল

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ১৭ জুলাই ২০২৫

লিওনেল মেসির পরিধান করা আইকনিক ১০ নম্বর জার্সি লামিন ইয়ামালকে দিয়েছে বার্সেলোনা। গতকাল বুধবার কাতালান ক্লাবটি কিশোর তারকাকে এই জার্সি পরিধানের স্বীকৃতি দেয়।

গেল রোববার ১৮ বছর পূর্ণ করা ইয়ামাল এই জার্সি গ্রহণ করেছেন আনসু ফাতির কাছ থেকে। আগামী মৌসুম থেকেই মেসি-রোনালদিনহো, রিভালদো, রোমারিও এবং দিয়েগো ম্যারাডোনার মতো কিংবদন্তিদের আইকনিক জার্সি পরে খেলবেন ইয়ামাল।

অন্যদিকে ফাতি চলতি মাসের শুরুতে মৌসুমব্যাপী লোনে ফরাসি ক্লাব এএস মোনাকোতে যোগ দিয়েছেন।

ইয়ামালের নতুন জার্সি নম্বরের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় একটি অনুষ্ঠানে, যেখানে তার নতুন চুক্তি উদযাপন করা হয়। গত মাসে বার্সার সঙ্গে ২০৩১ সাল পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ হন এই স্প্যানিশ তারকা।

২০০৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সায় ১০ নম্বর জার্সি গায়ে খেলতেন মেসি। এরপর আর্জেন্টাইন তারকা প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দেন।

ইয়ামাল বলেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম, তখন স্বপ্ন ছিল বার্সার হয়ে অভিষেক করা, বড় হয়ে ১০ নম্বর জার্সিতে খেলতে পারা। বার্সেলোনায় জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশুরই এই স্বপ্ন থাকে। মেসি তার পথ তৈরি করেছে, আর আমি আমার পথ তৈরি করবো।’

মেসির বিদায়ের পর ২০২১ সালে বার্সার ১০ নম্বর জার্সি পান আনসু ফাতি। কিন্তু একাধিক চোটের কারণে তিনি দলে জায়গা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। এই সময়ের মধ্যেই ইয়ামাল নিজেকে বার্সা ও স্পেন উভয়ের হয়েই অন্যতম প্রতিভাবান তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে প্রমাণ করেন।

এই কিশোর তারকা ইতিমধ্যেই বার্সার হয়ে ১০৬ ম্যাচ খেলে ২৫ গোল করেছেন। ইতিমধ্যেই ক্লাবটির হয়ে দুইটি লা লিগা, একটি কোপা দেল রে ও একটি স্প্যানিশ সুপারকোপা জিতেছেন। এখন ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জার্সি নম্বর পরিধান করে খেলবেন ইয়ামাল।

বার্সার এটি ইয়ামালের চতুর্থ জার্সি নম্বর। ২০২২-২৩ মৌসুমে অভিষেকের সময় তিনি ৪১ নম্বর পরে খেলেন, এরপর পরের মৌসুমে ২৭ এবং সর্বশেষ মৌসুমে ১৯ নম্বর জার্সি পরে খেলেছেন।

উল্লেখ্য, এক সময় মেসিও ১৯ নম্বর জার্সি পরে খেলেছিলেন, সেটি ১০ নম্বর পাওয়ার আগে।

এমএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।