ভারত ক্রিকেটকে অসম্মান করছে: পাকিস্তান অধিনায়ক

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৩ এএম, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এশিয়া কাপের ফাইনালের পর এসিসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রফি না নেয়া নিয়ে করা ভারতের আচরণকে ‘ক্রিকেটের প্রতি অসম্মানজনক’ বলে সমালোচনা করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলি আগা।

রোববার দুবাইয়ে রোমাঞ্চকর ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জিতলেও ভারতীয় দল এসিসি সভাপতি, পাকিস্তানের মাহসিন নকভির হাত থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টেই ভারত-পাকিস্তান খেলোয়াড়দের মধ্যে করমর্দন হয়নি। এ নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেন সালমান আগা।

ফাইনাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ভারত যা করেছে, তা খুবই হতাশাজনক। আমাদের সঙ্গে করমর্দন না করে তারা শুধু পাকিস্তানকে নয়, ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে। ভালো দলগুলো এভাবে আচরণ করে না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্যই একা ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে হাত মিলিয়েছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এবং রেফারির মিটিংয়ে তিনি হাত মেলান। কিন্তু ক্যামেরার সামনে তারা সেটা করেন না। আমি নিশ্চিত, তিনি নির্দেশ মেনে চলছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে হলে তিনি আমার সঙ্গে হাত মেলাতেন।’

আগা জানান, ক্রিকেটে এমন দৃষ্টান্ত তিনি আগে কখনো দেখেননি। ‘এভাবে করমর্দন এড়িয়ে যাওয়া ক্রিকেটের চেতনার পরিপন্থী। ফাইনালের পর ভারত কল্পিত ট্রফি তুলে ধরেছিল, সেটাও এরই ফল। যদি ট্রফি নিতেই না চাও, তবে শিরোপা জিতবে কিভাবে?’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা কেবল পাকিস্তানের হয়ে খেলি না, আমরা ক্রিকেটার হিসেবে তরুণদের জন্য রোল মডেল। যদি কোনো শিশু ভারত বা পাকিস্তানে আমাদের এমন আচরণ দেখে, তাহলে কী শিখবে? এই আচরণ ক্রিকেটের জন্য ভালো বার্তা নয়।’

ফাইনালের আগে ও পরে, টসে কিংবা ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়রা হাত মেলাননি। পুরো আসরেই ভারতীয়রা পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখেছে।

আঘা শেষ কথা বলেন, ‘এটা খুবই খারাপ দৃষ্টান্ত। আমি আশা করি এ ধরনের ঘটনা একসময় বন্ধ হবে, কারণ এটি ক্রিকেটের জন্য ক্ষতিকর।’

আইএইচএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।