বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি দেয়ার এখতিয়ার নেই
দেশের ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ডিগ্রি দেয়ার এখতিয়ার নেই বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ । বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সদস্য আবদুল মতিন খসরুর সর্ম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সে অনুমোদন দেয়া হয়নি। তারা পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করতে পারে না। এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া অনেকে আমেরিকা থেকেও পিএচডি ডিগ্রি নিয়ে আসেন। এসবের কোন স্বীকৃতি নেই। টাকা দিয়ে আমেরিকা থেকে বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি সনদ দাখিল করে সুবিধা গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ছাত্র সংসদ কার্যকরে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
সফিকুল ইসলাম শিমুলের (নাটোর-২) প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতির ধারা বজায় রাখার জন্য ছাত্র সংসদ কার্যকর করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, এক সময় ছাত্র সংসদ খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু সামরিক শাসন, স্বৈরশাসন এমনকি গণতান্ত্রিক শাসন আমলেও এটা বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা একটি রোগ এখন। কেউ সাহস করে এর থেকে বেরুতে পারছেন না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ছাত্র রাজনীতি গণতন্ত্র চর্চার সূতিকাগার। বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র রাজনীতির এর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার রয়েছে। এখান থেকেই আত্মপ্রকাশ করেছেন শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক, হোসনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১ এর স্বাধীনতা অর্জন এবং পরবর্তীতে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জনে দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সমাজের ভূমিকা খুবই গুরুপ্তপূর্ণ।
গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতি অবশ্যই সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক বলেও উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অতীতে যেমন ছাত্র সংসদ কার্যকর ছিল তেমনি বর্তমানেও বেশকিছু সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ রয়েছে। দেশের সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গঠনমূলক ছাত্র রাজনীতির ধারা বজায় রাখার জন্য ছাত্র সংসদ কার্যকর করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
শিক্ষার্থীদের থেকে নেয়া বর্ধিত টাকা ফেরত না দিলে ব্যবস্থা
সরকার দলীয় অপর সদস্য এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের (বগুড়া-৪) প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চলতি শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই দেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজে শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোর নামে ছাত্র-ছাত্রীদের টিউশন ও ভর্তি ফিসহ সকল ধরনের ফির হার বৃদ্ধি করার বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এজন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১৭ জানুয়ারি বর্ধিত বেতন ও অন্যান্য ফি আদায় অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেতন ও ফি হিসেবে এবং এসএসসির ফরম পূরণের সময় আদায়কৃত বাড়তি টাকা ফেরত দেয়ার জন্য সাতদিন সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
সাত কার্যদিবসের মধ্যে টাকা ফেরত না দিলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেবিধি-বিধানের আলোকে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেই সঙ্গে বাড়তি অর্থ শিক্ষার্থীদের ফেরত দিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে তা অবহিত করতেও বলা হয়েছে।
এইচএস/এসকেডি/পিআর