হেরেই টেনিস জীবনের ইতি টানলেন সানিয়া মির্জা

স্পোর্টস ডেস্ক
স্পোর্টস ডেস্ক স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস প্রতিযোগিতাই শেষ। এরপর চিরদিনের জন্য টেনিসের র‌্যাকেটটা তুলে রাখবেন শো-কেসে। নিজের ভুবনকে বিদায় জানানোর সঙ্গে সঙ্গেই নারী আইপিএলে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর মেন্টর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

নতুন দায়িত্ব পালন করার আগে টেনিস জীবনের শেষ ম্যাচটি খেলে ফেললেন তিনি। আশা ছিল টুর্নামেন্টটা জয় করে গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়বেন তিনি। কিন্তু বিদায়টা মধুর হল না সানিয়া মির্জার।

দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডেই হেরে গেলেন সানিয়ারা। তার এবং ম্যাডিসন কিজের জুটি ৪-৬, ০-৬ ব্যবধানে হারল ভার্নোকিয়া কুদেরমেতোভা-লিউডমিলা সামসোনোভা জুটির কাছে। এই পরাজয়ের সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হল সানিয়ার দু’দশকের বর্ণময় টেনিস জীবন।

৬টি গ্র্যান্ডস্লামজয়ী (দ্বৈতে) সানিয়া খেলোয়াড় জীবনের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলতে নেমেছিলেন গত জানুয়ারিতে। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নারীদের ডাবলসে দ্বিতীয় রাউন্ডে হেরে গেলেও মিক্সড ডাবলসের ফাইনালে উঠেছিলেন রোহান বোপান্নাকে নিয়ে।

যদিও শেষবার শিরোপা অধরাই থেকে গেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নের। দুবাইয়েও ভক্তদের আশা পূরণ করতে পারলেন না ভারতের সর্বকালের সেরা এই নারী টেনিস তারকা। তাদের জুটি প্রথম সেটে কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয় সেটে প্রত্যাশা মতো লড়াই করতে পারল না। মঙ্গলবার টেনিস কোর্টে দাপিয়ে খেলা সানিয়া আজ (বুধবার) থেকে সাবেক টেনিস খেলোয়াড়!

২০০৩ সালে পেশাদার টেনিসে পা রাখার পর থেকেই সানিয়া শুধু ভারতের নয়, হয়ে উঠেছিলেন এশিয়ার নারী টেনিসের মুখ। এক সময় সেরেনা উইলিয়ামস, মারিয়া শারাপোভাদের সঙ্গেই উচ্চারিত হত সানিয়ার নাম; কিন্তু বার বার চোট-আঘাত তাকে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। সিঙ্গেলস ছেড়ে ডাবলসকে বেছে নেন প্রতিযোগিতামূলক টেনিসের জন্য।

গত কয়েক বছর বিশ্ব টেনিসের আঙিনায় সানিয়াই ছিলেন ভারতের একমাত্র প্রতিনিধি। বাকি যারা আছেন, তারা কেউ সর্বোচ্চ পর্যায় নিজেদের উন্নত করতে পারেননি। ফলে সানিয়ার ছায়া থেকেও বেরিয়ে আসতে পারেননি কেউ।

আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।