ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

গবেষণার ভর্তিতে উচ্চ সিজিপিএ শর্ত বাতিল চায় ছাত্র ইউনিয়ন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বিদ্যমান গবেষণায় ভর্তির নীতিমালা পরিবর্তনের দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ দাবি নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। পরে উপাচার্যের কাছে দাবি সংবলিত স্মারকলিপি দেয়।

সংগঠনটির নেতারা দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর উভয়টিতে সিজিপিএ ৩.৫০ থাকার শর্ত রয়েছে, এটি অধিকাংশ শিক্ষার্থীকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করছে। এসময় তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে গবেষণা নীতিতে সিজিপিএ ৩.০০ নির্ধারণের দাবি জানান। এছাড়া আগামী ৫ কার্যদিবসে উক্ত দাবির দৃশ্যমান রূপরেখা বা পদক্ষেপ না নিলে কঠোর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেন।

এসময় সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সভাপতি নূর আলম ও সাধারণ সম্পাদক আহমাদ গালিব, সহ-সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল ও সাংগঠনিক সম্পাদক তাহমিদ হাসানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি নূর আলম বলেন, আমরা অনেকদিন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গবেষণায় জোর দেওয়ার জন্য বলে আসছি। প্রশাসন যাতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণামুখী করে সেই দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু পতিত ফ্যাসিবাদী প্রশাসনের প্রণীত নীতিমালার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল ও পিএইচডি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ভর্তির যোগ্যতা হিসেবে অনার্স ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.৫০ (৪.০০ এর মধ্যে) সিজিপিএ শর্ত আরোপ করা হয়েছে। এটি শিক্ষার্থীদের বৃহৎ অংশকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার এক সুস্পষ্ট নীলনকশা।

গবেষণার ভর্তিতে উচ্চ সিজিপিএ শর্ত বাতিল চায় ছাত্র ইউনিয়ন

তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতা ন্যূনতম ৩.০০ ও ক্ষেত্র বিশেষে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৩.২৫ সিজিপিএ রাখা হয়েছে। অথচ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক পার্থক্য বিবেচনা না করে অযৌক্তিকভাবে সর্বনিম্ন ৩.৫০ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এটি গবেষণার ক্ষেত্রকে সীমাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের উপর অযথা বৈষম্য চাপিয়ে দেওয়ার শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তাদের তিন দফা দাবি হলো- পতিত প্রশাসন প্রণীত গবেষণা নীতি অবিলম্বে বাতিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণীত নীতিমালার সঙ্গে সমন্বয় করে নতুন গবেষণা নীতি প্রণয়ন এবং বিদ্যমান ভর্তি পরীক্ষা নীতি বাতিল করতে করে নতুন নীতি প্রণয়ন এবং পুনরায় এমফিল ও পিএইচডি ভর্তির সুযোগ দেওয়া।

মানববন্ধন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

এ বিষয়ে উপাচার্য বলেন, গবেষণায় ভর্তির যোগ্যতার মানদণ্ডে সিজিপিএ কমানোর জন্য আমরা পূর্বেই একটা কমিটি গঠন করেছিলাম। তারা কাজ করছে। অর্ডিন্যান্স পরিবর্তনের জন্যও আমাদের কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। এইসব দাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।

ইরফান উল্লাহ/এমএন/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।