জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

লাঞ্চের পর অফিসে আসেন না শারীরিক শিক্ষা কর্মকর্তা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক জাবি
প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
অভিযুক্ত কর্মকর্তা বেগম নাছরীন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নির্ধারিত দাপ্তরিক সময়সীমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিয়মিত ‌‘অফিস ফাঁকি’ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শারীরিক শিক্ষা অফিসের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বেগম নাছরীনের বিরুদ্ধে। দাপ্তরিক বিধি অনুযায়ী, বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত অফিস করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর আর কর্মস্থলে ফেরেন না তিনি। তার এমন অপেশাদার আচরণের ফলে দাপ্তরিক সেবা নিতে আসা শিক্ষার্থীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা অফিসের একাধিক সূত্র জানায়, বেগম নাছরীন নিয়মিত অফিস কার্যক্রমে অংশ নেন না। প্রায়শই লাঞ্চের পর আর অফিসে ফেরেন না এবং ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত থাকেন। ফলে দাপ্তরিক সেবা নিতে আসা ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

এসব অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে অন্তত দুই দিন লাঞ্চের পর তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। গত বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে প্রথমে তিনি ‘আসছেন’ বলে জানালেও পরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে জানান, অফিস সময় শেষ হয়ে গেছে, তাই পরদিন আসতে হবে। অথচ তখনও তার রুমের সামনে চারজন ব্যক্তি অপেক্ষায় ছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকেও তাকে অফিসে পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ব্যস্ততার অজুহাতে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন এবং ওই দিন আর অফিসে আসবেন না বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

তবে লাঞ্চের পর অফিসে না আসার বিষয়টি অস্বীকার করে বেগম নাছরীন। তিনি বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমি নিয়মিত অফিসে আসি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাপ্তরিক সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্ধারিত। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া অফিস ত্যাগ করার কোনো সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অফিস করতে হবে। কারও বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময় অফিস না করার অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো. রকিব হাসান প্রান্ত/কেএইচকে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।