ঢাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাবি
প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২৫
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা/ছবি: জাগো নিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন এবং প্রাক্তন ছাত্র সমিতির গ্র্যান্ড রিইউনিয়ন হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, বৃত্তি প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

শনিবার (৮ নভেম্বর) ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্রী ও একই বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফিয়া আহমেদের ছেলে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি শবনম শেহনাজ চৌধুরী দীপা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ৭৫ বছর পূর্তি উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির।

উপাচার্য নিয়াজ আহমদ তার বক্তব্যে রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘দলীয় রাজনীতি আমাদের নানাভাবে বিভাজিত করে ফেলেছে। আমরা শিক্ষা ও গবেষণাকে সব রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে চাই। আমরা সমাজের সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে চলতে চাই। ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া সম্পর্ক আরও জোরদার ও অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করতে চাই। এ ধরনের অনুষ্ঠান এ ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।’

আরও পড়ুন
প্রশাসনিক নয়, সংস্কারের মূল লক্ষ্য নৈতিক: প্রধান বিচারপতি
ঢাবির এবড়োখেবড়ো মাঠে খেলতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা
জকসু নির্বাচনে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার পরিকল্পনা

প্রধান বিচারপতি রেফাত আহমেদ বলেন, ‘ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ৭৫ বছরের যাত্রা কেবল একাডেমিক সাফল্যের ইতিহাস নয়, বরং এটি জাতির বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনেরই এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। ইতিহাসের গভীর বোধ ছাড়া কোনো সংস্কারক প্রজ্ঞাবান হতে পারেন না, আর কোনো বিচারক তার সভ্যতার শিকড় না বুঝে আইনের যথাযথ ব্যাখ্যা দিতে পারেন না।’

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘আইন হলো কোনো জাতির নৈতিক ইতিহাস, যা ন্যায়ের ভাষায় লেখা হয়। আর ইতিহাস হলো কেন সমাজকে আরও ভালো হতে হবে, তারই অনুসন্ধান।’

বিচার বিভাগের সংস্কার প্রসঙ্গে রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বিচার বিভাগ কেবল ঐতিহ্যের স্বস্তিতে টিকে থাকতে পারে না। এটিকে সময়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হয়। আর সময়ের সঙ্গে বিচার বিভাগকে প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে তাকে সংস্কার করতে হয়। গত ১৫ মাসে আমরা বিচারব্যবস্থার স্বায়ত্তশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও জনগণের বিচারপ্রাপ্তির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক রূপান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি এবং সেটি এখনো চলমান আছে।’

আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি দেওয়া হয়। বিভাগের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭৫ শিক্ষার্থীকে প্রাক্তন ছাত্র সমিতির পক্ষ থেকে বিশেষ বৃত্তিসহ বিভাগের মোট ৮৪ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে পিএইচডি ও এমফিল ডিগ্রি অর্জনকারী প্রাক্তন ছাত্র সমিতির ১১ সদস্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং সমমান পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য সমিতির সদস্যদের ৫৮ সন্তান এবং বিভাগের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ১৩ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এফএআর/একিউএফ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।