তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে সরগরম ঢাবি
গ্রীষ্মকালীন ছুটি, পবিত্র রমজান, জুম্মাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দীর্ঘ এক মাস ১১ দিন বন্ধ থাকার পর আবার শনিবার থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম।
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ কাটাতে শিক্ষার্থীরা যখন নিজেদের এলাকায় গেল তখন চিরচেনা এই ক্যাম্পাসটি ভূঁতুড়ে নগরীতে পরিণত হয়েছিল। টানা বন্ধের পর অভিমানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ে আবারো প্রাণের সঞ্চার হয়েছে।
র্দীঘ ছুটির পর এখন সরগরম হয়ে উঠেছে এর প্রতিটি আঙ্গিনা। কার্জন, টিএসসি, বটতলা, অপরাজেয় বাংলা, লাইব্রেরি, ডাকসু, মধুর ক্যান্টিন, হাকিম চত্বর, মিলন চত্বর, মল চত্বর কিংবা নতুনভাবে সংস্কারকৃত স্মৃতি চিরন্তন। সব জায়গাই আজ মুখর শিক্ষার্থীদের পদচারণায়।
এ বিষয়ে, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ‘কিছুদিনের জন্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে প্রিয়জনের কাছে ফিরলেও পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের দিনগুলোকে খুব মিস করেছি। মিস করেছি এই সবুজ চত্বরের আড্ডাস্থল সমূহকে। বন্ধুদের ছেড়ে এতোদিন বাড়িতে থাকতে খুবই খারপ লেগেছে। হলে ফিরে এসে আবার বন্ধুদের ফিরে পেয়ে খুব আনন্দ লাগছে`।
আড্ডা আর খুঁনসুটিতে আবাবো ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র শুভ্র আবির বলেন,‘ আসলে আমার কাছে ঈদ পরবর্তী সময়ে ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময়টাকে নতুন ঈদ মনে হচ্ছে। কারণ এতোদিন পরে বন্ধু-বান্ধবদের পুনরায় ফিরে পেয়ে এখনকার সময়টুকু আমার কাছে নতুন ঈদের মতোই। বাড়ি থেকে ফিরতে যে কষ্ট হয়েছে, ক্যাম্পাসে ফিরে সেই কষ্ট আনন্দে রূপ নিয়েছে। মা-বাবা প্রিয়জনকে ছেড়ে আসলেও এখন বন্ধুদের পেয়ে ভালই লাগছে।’
এদিকে আবাসিক হলগুলোও সরগরম হয়ে উঠছে। শিক্ষার্থীরা ফিরছেন নিজেদের স্বপ্নের আঙ্গিনায়। হলের দোকানপাট ও ক্যান্টিনগুলোও পুনরায় চালু হয়েছে। হল সমূহের লাইব্রেরি ও টিভিরুমগুলো আবারো সরগরম হয়ে ওঠেছে।
অন্যদিকে রোববার থেকে চালু হচ্ছে সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের ক্লাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিসহ সকল বিভাগের ক্লাসরুমগুলো থাকবে শিক্ষার্থীদের আনাগোনায় মুখর।
এমএইচ/এসকেডি/এমএস