শহীদ আসাদের স্মরণে ঢাবিতে পাঠাগার উদ্বোধন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:০৮ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০২১

১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ওরফে আসাদের স্মরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে নবনির্মিত ১২০ আসন বিশিষ্ট ‘শহীদ আসাদ পাঠাগার’ উদ্বোধন করা হয়েছে।

বুধবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের শতবর্ষ উদযাপনের প্রাক্কালে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মোৎসর্গকারী আসাদের শহীদ হওয়ার দিনকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য এই পাঠাগারটি উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল উপস্থিত হয়ে এই পাঠাগার উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, আসাদ নিজের প্রাণ বিসর্জন দিয়ে আমাদের মুক্তির আন্দোলনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। আসাদ ছিলেন ঊনসত্তরের টার্নিং পয়েন্ট৷ পাঁচটি মামলা মাথায় নিয়েও এতটুকু বিচলিত হননি তিনি। একটি জাতিরাষ্ট্র উপহার দেয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে তিনি নিজের মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। এটি হচ্ছে বীরের মৃত্যু। এই মৃত্যু সফলতার আসন। হয়তো অল্প বয়সে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু ইতিহাস যতদিন লিপিবদ্ধ থাকবে ততদিন আসাদের নাম থাকবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, আসাদ বর্তমান ছাত্রদের জন্য অনুকরণীয় আদর্শ। পাঠাগারটি শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও ইতিহাস চর্চার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডা. নুরুজ্জামান হক তার ভাইয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার ভাই এই হলে (ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল) অর্ধ যুগ ছিলেন। আসাদ ভাই সেদিন নিজেকে ও তার পরিবারকে উপেক্ষা করে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সেরা দশজন অগ্রনায়কের মাধ্যে আসাদ ছিলেন একজন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূঁইয়া, শহীদুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার, ফজলুল হক মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শাহ মো. মাসুম এবং ডাকসু ও হল সংসদের সাবেক নেতৃবৃন্দ।

আল-সাদী ভূঁইয়া/এসজে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।