হল খুলে সশরীরে পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে উপ-উপাচার্য ড. সামাদ

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে হল খুলে সশরীরে পরীক্ষার নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ।
মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সক্ষমতার বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মতামত ব্যক্ত করেন।
উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুস সামাদ বলেন, অনলাইন ক্লাসেই আমাদের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ৪৫ শতাংশের মত। আরও ৫৫ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসের বাইরে। যেখানে অনলাইন ক্লাসে এত পরিমাণ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত তাদেরকে রেখে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া অযৌক্তিক। আমরা প্রথমে যখন অনলাইন ক্লাসের কথা বলেছিলাম, তখন বলেছি শুধুমাত্র ক্লাস অনলাইনে হবে। পরীক্ষা সশরীরে হবে। এখন অনলাইনে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার মত। আমাদের এক্ষেত্রে আরও বিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবস্থার কথা বিবেচনা করে তিনি বলেন, আমাদের অনেক বয়স্ক শিক্ষক আছেন, যারা ইতোপূর্বে অনলাইন পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। অনেকের কম্পিউটার জ্ঞানও খুব বেশি নয়। এক্ষেত্রে তারা কীভাবে অনলাইনে পরীক্ষা নেবে? আবার নেটওয়ার্কও তেমন ভাল না। আর শিক্ষার্থীরাও গ্রামে-গঞ্জে থাকে, তাদের ডিভাইস ও নেটওয়ার্কের অপ্রতুলতা রয়েছে। তাদেরও অনলাইনে এক্সাম দেয়ার সক্ষমতা নেই। আমরাও তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ নিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কম্পিউটার বা মোবাইলে লেখার দক্ষতারও একটা বিষয় আছে। সবাই সব পারবে না। আবার কেউ পিডিএফ করে পাঠাল। তার পিডিএফ আমাদের কাছে পাঠালে আমাদের ডিভাইস দিয়ে তাদের পিডিএফটা ওপেন নাও হতে পারে। এতে খুব বিড়ম্বনায় পড়তে হবে।
শিক্ষার্থীদের দ্রুত টিকা দিয়ে হলে উঠানোর উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দিয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সামাদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেও শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলিয়ে এক লাখ টিকার কিছু বেশি লাগতে পারে। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই টিকা দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়ে নিতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা আরও এক মাস অপেক্ষা করবে। তারপরও টিকা দিয়ে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হবে। অন্যথায় এসব মিটিং কোনো ফলপ্রসূ হবে না।
আল সাদী/এআরএ/এমকেএইচ