প্রকাশিত কিছু সংবাদে ‘বিব্রত’ সাত কলেজের সমন্বয়ক
নাহিদ হাসান, ঢাকা কলেজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদে ‘বিব্রত’ বলে জানিয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুন) সাত কলেজের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুই ধরনের সংবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ বলেন, ‘নিউজগুলো হয়, এরা (সাংবাদিক) কম শোনে কিংবা ইনটেনশনালি পুরোটা (বক্তব্য) কোট করে না। ইচ্ছামতো লেখে। আমি তো ওখানে লাইভ কথা বলেছি, রেকর্ডও আছে। তারা একেক সময় একেক নিউজ করে। তাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে ইনফরমাল কথা বললে ওগুলোও নিউজ করে।’
‘অনলাইন পরীক্ষায় যাচ্ছে না সাত কলেজ’ শিরোনামে মঙ্গলবার (২২ জুন) জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওইদিনই আরও কয়েকটি গণমাধ্যমেও এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মহসীন কবীর ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের বরাত দেয়া হয়।
পরে রাতে অনলাইন প্লাটফর্মে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাত কলেজের সমন্বয়ক সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। সেখানে তার দেয়া বক্তব্যের বরাত দিয়ে ‘শিক্ষার্থীরা চাইলে অনলাইনে হবে সাত কলেজের পরীক্ষা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কয়েকজন অধ্যক্ষের বক্তব্যের সঙ্গে সমন্বয়কের বক্তব্যের অমিল পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। অনেক শিক্ষার্থী অনলাইন পরীক্ষার পক্ষে অবস্থান নিলেও ইন্টারনেট সমস্যা ও ডিভাইস না থাকায় এর বিপক্ষে অবস্থান নেন অনেক শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার বলেন, ‘প্রকাশিত কিছু সংবাদে প্রচণ্ড বিব্রত। আমরা কোভিডের মধ্যে পরীক্ষা নেব কীভাবে? আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। লকডাউন আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে।’
করোনা একটা বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা তো শুধু বাংলাদেশের সমস্যা না৷ কিংবা সাত কলেজের সমস্যা না। এখন বৈশ্বিক সমস্যাকে মনে করে শুধু ওদেরই (সাত কলেজর শিক্ষার্থী) সমস্যা। তাদের (শিক্ষার্থী) বলেছি পড়াশোনা করতে। একটু সুযোগ পেলেই ফিজিক্যালি পরীক্ষা শুরু করব।’
তবে করোনা যদি অনির্দিষ্টকালের জন্য চলতে থাকে তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এসএস/এইচএ/এএসএম