ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে উত্তেজনা, আনন্দ মোহন কলেজের হল বন্ধ ঘোষণা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ
প্রকাশিত: ১২:২৬ এএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২১

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটকে জেলার অধীনে ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এই নিয়ে জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আমান উল্লাহ স্বাক্ষরিত নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির সব আবাসিক হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।

নোটিশে বলা হয়, রাত সাড়ে ৮টার মধ্যে ছেলেদের এবং আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ৮টার মধ্যে মেয়েদের হল ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রলীগ ইউনিটকে জেলার অধীনস্থ ঘোষণা করে।

এরপর শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই ছাত্রলীগের কিছু কর্মী আনন্দ মোহন কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন এবং কলেজ ছাত্রলীগ শাখাকে মহানগর শাখায় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

এই নিয়ে দুপুরের দিকে ছাত্রলীগের অন্য একটি অংশ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

এবিষয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক নওশেল আহমেদ অনি জাগো নিউজকে বলেন, মহানগরের কোনো ছাত্রলীগ নেতা বা কর্মী আনন্দ মোহন কলেজে যায়নি। শুনেছি, সেখানে জেলা ছাত্রলীগ ককটেল ফাটিয়েছে।

এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, মহানগর ছাত্রলীগ আনন্দ মোহন কলেজে হাতাহাতি করেছে ও ককটেল ফাটিয়েছে শুনেছি। জেলা ছাত্রলীগের কোনো নেতা বা কর্মী আনন্দ মোহন কলেজে যায়নি। তবে, কেউ যদি জেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ককটেল ফাটানোর অভিযোগ করে থাকে সেটি অবশ্যই মিথ্যা। কারণ, জেলা ছাত্রলীগের সব নেতাকর্মী টাঙ্গাইল জেলা ছাত্রলীগের দাওয়াতে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছে।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ জাগো নিউজকে বলেন, দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।