ছাত্রদের আন্দোলন, শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অস্থির বুটেক্স ক্যাম্পাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২২
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও এর জেরে শিক্ষকদের কর্মবিরতিতে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে পাস করা সাবেক ছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বুটেক্স প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, এর আগে সশরীরে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে ছাত্রছাত্রীরা আন্দোলন করেছে। আর এখন তারা সশরীরে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছে। তবু আমরা শিক্ষার্থীদের দাবিকে সম্মান জানাই। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি। আশা করি, টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে যে পরিস্থিতি চলছে সেটা অবিলম্বে নিরসন হবে।

তিনি বলেন, আমার সঙ্গে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আলোচনা হয়েছে। আশা করি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক বিষয়ে দাবি জানাবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।

অন্যদিকে উপাচার্য অধ্যাপক অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম বলেন, ছাত্ররা এর আগে অনলাইনে পরীক্ষা দিয়েছে। সেটা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাদের শিক্ষাজীবন রক্ষায় করা হয়েছিল। কিন্তু যখন সরাসরি ক্লাস হয়েছে, তখন অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার দাবি শিক্ষকদের কাছে যৌক্তিক মনে হয়নি। তার ওপর আন্দোলনকারী ছাত্ররা শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তারা আজ সোমবার কর্মবিরতি পালন করায় তা জটিল হয়ে উঠছে।

জানা গেছে, সশরীরে ক্লাস বন্ধের দাবিতে গত শনিবার ছাত্ররা সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেন। এ নিয়ে আলাপের জন্য রোববার সকাল ১০টায় মিটিংয়ে বসলে ছাত্ররা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন। তারা শিক্ষকদের অবরোধ করে রাখেন। পাশাপাশি ওই ভবনের বিদ্যুৎ ও পানির লাইন কেটে দেন। এই অবস্থায় রাত ১২টা পর্যন্ত তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে রাত ১২টায় পুলিশ এসে শিক্ষকদের উদ্ধার করে। এতে শিক্ষকরা চরম ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এই ঘটনার জেরে শিক্ষকরা আজ কর্মবিরতি পালন করেছেন।

হল ত্যাগের নির্দেশ
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে একটি ছাত্র ও একটি ছাত্রী হল আছে। এর মধ্যে সোমবার সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের আবাসিক ছাত্রদের জন্য হলের প্রভোস্ট ড. আহমেদ জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে বলা হয়, ৪০, ৪১ ও ৪২তম ব্যাচের সব আবাসিক ছাত্রদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, তাদের একাডেমিক সব কার্যক্রম সমাপ্ত হয়েছে এবং এছাড়া অন্য ব্যাচের এলোটমেন্ট ব্যতীত যারা হলে অবস্থান করছে তাদেরকে ১০ জানুয়ারি দুপুর ১২টার মধ্যে হল ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হল ত্যাগ না করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং হল কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না।

এমএইচএম/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।