ক্যাশ থেকে টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ১০:০৫ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২২

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনের ‘গ্রামীণ টেলিকমের’ ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাশেদ খান।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, দুপুর দেড়টার দিকে একজন নারী ওই দোকানে ঢুকে পড়েন। ভুক্তভোগীর দাবি, তিনি মোবাইল রিচার্জের জন্য দোকানে আসেন। এ সময় অভিযুক্ত সোহাগ দোকানে নারী আসার কথা বলে পাল্লা নামিয়ে দেন। এরমধ্যে জিয়া হলের সভাপতি রাশেদ এসে ভুক্তভোগীকে হুমকি-ধমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন। ঘটনার এক পর্যায়ে টাকার বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় ক্যাশ থেকে তিনি ৫০ হাজারের মতো টাকা ছিনিয়ে নেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জিয়া হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, “ঘটনার সময় আমি পাশের দোকানেই ছিলাম। ওরা (অভিযুক্তরা) এসে তার (দোকানি) সঙ্গে ঝামেলা শুরু করে। আমরা কয়েকজন প্রক্টরকে ফোন দিতে চাইলে বলে ‘আগে কিছু কট দিয়ে নিই’। এরপর রাশেদ এসে পকেটে টাকা ভরে নিয়ে হবিবুর হলে চলে যায়।”

তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি রাশেদ বলেন, ‘আমি দুপুরে খাওয়ার জন্য হলের নিচে আসি। আসার পর দেখি ওই দোকানের সামনে গ্যাঞ্জাম। সেটি হলো দোকানের ভেতর মেয়ে থাকায় সিনহা ও সোহাগ মিলে দোকানিকে আটকে রেখেছে। আমি সেখানে যাওয়ার এক মিনিটের মধ্যে সহকারী প্রক্টর এসে তাদের নিয়ে যায়। আমি কোনো টাকা নেইনি।’

এ বিষয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহাগ বলেন, ‘ক্লাস করে এসে আমি যখন হাফিজুরের দোকানে যাই তখন এক নারীসহ তাকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পাই। দোকানের সামনে আরও ৭-৮ জন মানুষকে আমি তখন এ ঘটনা ডেকে বলি। পরবর্তী সময়ে এক বড় ভাই তার দোকানের শাটার নামিয়ে দিয়ে প্রক্টরকে ফোন দেয়।’

টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়ে অবগত নন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী দোকানি সেলিম বলেন, ‘আমার দোকানের পাল্লা খোলা থাকে। ওই মহিলা মোবাইল রিচার্জ করতে এসে ভেতরে চলে আসে। কিছুক্ষণের মধ্যে সোহাগ নামের একজন আসে। আর দোকানে মহিলা থাকায় হুট করে পাল্লা নামিয়ে দেয়। পরে তার বন্ধুদের আসতে বলে আমাকে আটকে রাখে। এ সময় রাশেদ এসে আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। প্রথমে দুই-তিন হাজার টাকা দিতে চাইছিলাম। কিন্তু সে জোর করে ক্যাশ থেকে ৫০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়।’

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আসাবুল হক বলেন, সাংবাদিকদের কাছ থেকেই টাকা নেওয়ার বিষয়টি একটু আগে জানলাম। তবে এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লিখিত কোনো অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া দোকানির বিরুদ্ধে নারীঘটিত যে অভিযোগ তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উপযুক্ত প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মনির হোসেন মাহিন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।