ঘাটতি পূরণে প্রতিবছর ২৮০০ কোটি টাকার গুঁড়াদুধ আমদানি

বাংলাদেশে প্রতিবছর ১৩ দশমিক ০৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপাদিত হয়। মাথাপিছু দৈনিক দুধের গড় প্রাপ্যতা ২০৮ দশমিক ৭০ মিলিলিটার। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে মাথাপিছু দুধের প্রাপ্যতা ৪২৭ মিলিলিটার এবং পাকিস্তানে ৫১৫ মিলিলিটার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন ২৫০ মিলিলিটার দুধ প্রয়োজন। সে হিসেবে দেশে বাৎসরিক ১৫ দশমিক ৭০ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ প্রয়োজন। দুধের ঘাটতি পূরণে প্রতিবছর দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার গুঁড়াদুধ আমদানি করতে হয়। আমদানি করা গুঁড়াদুধের মান নিয়ে সংশয় রয়েছে।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিকুল ইসলাম।
বুধবার (৩১ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কার্যালয়ের সভাকক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ড. আশিকুল ইসলাম বলেন, দুধ প্রকৃতির শ্রেষ্ঠ খাবার। দেহের প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি উপাদান দুধে সুষমভাবে উপস্থিত থাকায় দুধকে সুষম খাদ্য বলা হয়। দুধে উপস্থিত ল্যাকটোজ মানুষের মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুকোষ বর্ধনে সহায়তা করে। এটি দৈহিক ও মজবুত হাড় গঠন এবং রোগ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। জন্মের পর থেকে ৫-৭ বছরের মধ্যে শিশুর মস্তিষ্কের ৯০ ভাগ বর্ধিত হয় বলে এসময়ে দুধের প্রয়োজনীতা সবচেয়ে বেশি। যে জাতি যতবেশি দুধ পান করে, সে জাতি তত বেশি মেধাবী হয়।
তিনি আরও বলেন, পর্যাপ্ত দুধ উৎপাদনের জন্য আমাদের দেশে বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম ভালো জাতের দুধেল গাভির অভাব, গো-খাদ্যের স্বল্পতা ও উচ্চমূল্য, বাজারজাতকরণের সমস্যা ও নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ে না ওঠা। এজন্য মানুষের মধ্য্যে দুধের উপকারিতার কথা প্রচার করে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি গো-খাদ্যের দাম কমাতে হবে।
বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতারের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোহেল রানা সিদ্দিকী, অধ্যাপক (অব.) ড. এম এ সামাদ খান, অধ্যাপক ড. রায়হান হাবিব ও সহযোগী অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুম।
এসআর/এএসএম