শব্দদূষণে অতিষ্ঠ শেকৃবি শিক্ষার্থীরা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক শেকৃবি
প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরেই যানজট ও শব্দদূষণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও দীর্ঘদিনেও সমাধান পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, অফিস সময়ের অতিরিক্ত যানজট সৃষ্টিকারী যানবাহন আগারগাঁওয়ের মূল রাস্তা দিয়ে না গিয়ে হলের পাশের রাস্তাটি শর্টকাট হিসেবে ব্যবহার করে। কিন্তু শটকার্ট ব্যবহার করতে গিয়ে গাড়িগুলো আগারগাঁওয়ের র্যাব অফিস থেকে দ্বিতীয় ফটক হয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি করে। বিশেষ করে অফিস টাইম সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ রাস্তায় তীব্র যানজট থাকে। মূল রাস্তার খুব কাছে নবাব সিরাজ উদ্দৌলা হল হওয়ায় সবচেয়ে বেশি শব্দদূষণের শিকার হলটির বি-ব্লকের শিক্ষার্থীরা। সকাল থেকে শুরু করে রাত ১২-১ টা পর্যন্ত এ রাস্তায় যান চলাচল করে। এতে পড়াশোনায় ক্ষতিসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির এই হলে থাকা ১ হাজার ২৫০ আবাসিক শিক্ষার্থীরা। একই ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে শেরেবাংলা হলের ৭৫০ শিক্ষার্থীও।

নবাব-সিরাজঊদ্দৌলা হলের বি ব্লকের শিক্ষার্থী আতিকুল হক জিলানী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সারাদিন মোটরবাইকের শব্দ ও হর্নের কারনে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্ন ঘটে। সারাদিন ক্লাস-পরীক্ষা শেষে বিকালে একটু বিশ্রাম নেওয়ার উপায় নেই। সামনে পরীক্ষা অতিরিক্ত শব্দে আমরা পড়াশোনাতে মনোযোগ দিতে পারি না।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরেবাংলা হলের শিক্ষার্থী উৎস আহম্মেদ বলেন, ‘আমাদের হলের বাম এবং পিছন দিক পুরোটাই প্রধান সড়ক। সারক্ষন গাড়ি চলতে থাকে এবং বিভিন্ন মোড় থাকায় অযথাই হর্ণ দেয় অন্যদিকে ট্রাফিক জ্যাম পড়লে শব্দে রুমে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে।‘

চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবলের বেশি হলে সেটি মানসিক এবং শারীরিকভাবে অত্যন্ত ক্ষতিকর, যা শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী মানুষের নানাবিধ স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার বলেন, ‘শব্দ দূষণের কারণে প্রথমত মানুষের কান ক্ষতিগ্রস্ত হয়, শোনার ক্ষমতা কমে যায় এবং ক্রমান্বয়ে বধিরতা তৈরি হয়। মাথা ব্যথা, অস্বস্তি এবং মেজাজ খিটখিটে হয়। এছাড়াও ক্রমান্বয়ে শব্দ দূষণের মধ্যে থাকলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উপর ভরসা করেও পরিত্রান না পাওয়ায় সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ও বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) হল সংলগ্ন এ রাস্তা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হারুন-উর-রশিদ কিছুদিন সময় চেয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এবং শিক্ষার্থীরা অবরোধ ছেড়ে দেন।

তাসনিম আহমেদ তানিম/এসটি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।