রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

পরীক্ষার দাবিতে ফোকলোর বিভাগে সভাপতির কক্ষে তালা

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৪:৩৮ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের ডিস-কলিজিয়েট হওয়া ৩১ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ায় ভাঙচুরসহ সভাপতির কক্ষে তালা দিয়ে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে বিভাগের সামনে আন্দোলনে করেন তারা।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্সের ৪৪ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ জন ডিস-কলিজিয়েট (৬০ শতাংশ উপস্থিত না হওয়া) হয়েছে। বাকি ১৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগদান করে। বাকি ১২ শিক্ষার্থীকে নিয়ে আজ (২৪ সেপ্টেম্বর) মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয়। এদিকে পরীক্ষা শুরু হলে বিভাগের ১২২ নম্বর কক্ষে যেখানে মাস্টার্স পরীক্ষা চলছিল সেই কক্ষে ভাঙচুরসহ ফোকলোর বিভাগের গেটে তালা ঝুলিয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতিকে সরকার বিরোধী আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।

rabi-(3).jpg

আরও পড়ুন: ফোকলোর: বাঙালির শেকড়ের স্বরূপ

এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি পেশ করেন। মাস্টার্সের পূর্বনির্ধারিত পরীক্ষা স্থগিত করতে হবে। সব শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে অনতিবিলম্বে নতুন করে মাস্টার্স পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা। মাস্টার্সের পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস প্রদান করাসহ, সব কোর্সের জন্য পর্যাপ্ত ক্লাস গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষকদের খেয়াল খুশিমতো ক্লাস নেওয়ার অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। ফর্ম পূরণের জন্য কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় দিতে হবে। বিভাগের উন্নয়নের নামে অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার করতে হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আসাবুল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন। পরে সভাপতির প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনা করে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন।

rabi-(3).jpg

শিক্ষার্থীরা জানান, সভাপতির কক্ষে আমরা সবাই গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের দুই-তিনজন প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে চাইলে আমরা রাজি হই। বিভাগের সভাপতি আমাদের জানান একাডেমিক মিটিং ডাকা হয়েছে সেখানে সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানাবেন।

এ বিষয়ে ফোকলোর বিভাগের সভাপতি ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ৩১ শিক্ষার্থী ডিস-কলেজিয়েট হয়েছে। তাদের পরীক্ষায় বসতে সুযোগ না দেওয়ায় তারা আন্দোলন করেন। তাদের মধ্যে অনেকেই একদিনও ক্লাস করেনি। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের বিভাগে মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানে তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মনির হোসেন মাহিন/আরএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।