রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

ছাত্রলীগের কর্মীদের মারধরে হাসপাতালে শিক্ষার্থী

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) খেলাকে কেন্দ্র করে মো. আসিফ আহমেদ এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে। আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটের শিমুল কম্পিউটার দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার আসিফ আইন বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়।

অভিযুক্তরা হলেন- সোহরাওয়ার্দী হলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও একই বিভাগের কায়েস মাহমুদ এবং হলের আইন বিষয়ক সম্পাদক তানিব রহমান আমির আলী। তারা দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী। তবে অনুসারীর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ছাত্রলীগের সভাপতি। এ সময় তাদের সহযোগী হিসেবে ছিলেন আব্দুল্লাহ, ফোরকান, শাকিল ও নাঈম।

ভুক্তভোগী ছাত্র আসিফ আহমেদ বলেন, আমাদের আইন বিভাগে প্রতিবছর একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট হয়। এবারের খেলা পরিচালনার জন্য ১৫ জনের একটি কমিটি গঠন করা হয়। চার-পাঁচ জন শিক্ষার্থী এ খেলা হতে দেবে না। তারা সবাই ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের বাদ দিয়েই আমাদের এবারের টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। এরই সূত্র ধরে খেলার আয়োজনের দায়িত্বে থাকা কয়েকজনকে তারা মারবে বলেও সিদ্ধান্ত নের। আমাকে মার্কেটে একা পেয়ে কায়েস মাহমুদ, তানিবের নেতৃত্বে তারা বেধড়ক পিটিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কর্মী কায়েস মাহমুদ ও তানিবের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা মেরেছে তাদের ভালো করে চিনতে পারছি না আমি। তারা আমার অনুসারী কি না ভালো করে এখনো নিশ্চিত নই। তবে আমরা দেখছি। যদি ছাত্রলীগের কেউ হয়ে থাকে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আমরা শুনেছি। ভুক্তভোগী ছাত্রকে চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়। আমরা প্রাথমিকভাবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠাই এবং তার এক্স-রে করাই। তার বিভাগের মাধ্যমে আমাদের কাছে অভিযোগ এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মঅনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সভাপতি হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্র আমাকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে সভা ডেকেছি।। যারা তাকে মেরেছে তাদের বিষয়ে সত্যতা পেলে বিভাগ থেকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মনির হোসেন মাহিন/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।