পটুয়াখালীতে স্বেচ্ছায় ট্রলিং বোট অপসারণ করছে জেলেরা
বঙ্গোপসাগরে নিষিদ্ধ ট্রলিং বোটের মাধ্যমে নির্বিচারে নিধন হচ্ছে ইলিশসহ সামুদ্রিক ৩৭৫ প্রজাতির মাছ। মাছের ভবিষ্যৎ রক্ষায় পটুয়াখালীতে স্বেচ্ছায় অবৈধ ট্রলিংবোটের সরঞ্জামাদি অপসারণে জেলেদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পটুয়াখালীতে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ জুলাই) সকালে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের বিএফডিসি মার্কেটে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের পরামর্শে মাছের ভবিষ্যৎ রক্ষায় স্বেচ্ছায় অবৈধ ট্রলবোটের সরঞ্জামাদি অপসারণ করেন জেলেরা। পরে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সুরক্ষায় এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মৎস্যজীবী সংগঠন, ট্রলার মালিক সমিতি, কোস্টগার্ড, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।
সাধারণ জেলেরা বলেন, এটি অত্যন্ত খুশির সংবাদ। আজ কার্যকর করলো সরকার। এজন্য তাদের ধন্যবাদ। সামনে যাতে আর কোন ট্রলিং বোর্ড নির্মাণ না করে এদিকে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেন তারা। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ট্রলিং বন্ধের দাবি জানান জেলার ট্রলিং মাছ ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে এখনো কিছু ট্রলার অননুমোদিত সরঞ্জাম ব্যবহার করছে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যের জন্য ক্ষতিকর। জেলেদের দীর্ঘমেয়াদি জীবিকা বিপন্ন করছে। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইমাম হাসান আজাদ, (সি) বলেন, সমুদ্রের নিরাপত্তা ও মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। যারা স্বেচ্ছায় অবৈধ সরঞ্জাম সরিয়ে নেবে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। উৎসাহ প্রদান করা হবে।
বরিশাল মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আলফাজ উদ্দীন শেখের সভাপতিত্বে পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ড. আবু নঈম মুহাম্মদ আবদুছ ছবুর, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন ইমাম হাসান আজাদ, পটুয়াখালী স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক (উপসচিব) মো. জুয়েল রানা প্রমুখ।
আসাদুজ্জামান মিরাজ/আরএইচ/জেআইএম