মাদারীপুরে ধর্ষণের শিকার ৮ বছরের শিশু

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৯:০৫ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাদারীপুরের কালকিনিতে ৮ বছরের এক শিশুকে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শুক্রবার (২৯ আগস্ট) এই ঘটনা ঘটলেও রোববার (৩১ আগস্ট) জানাজানি হয়। ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত প্রতিবেশী সোহাগ শিকদার পালিয়ে যান।

পুলিশ, পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার পশ্চিম পাঙ্গাশিয়া গ্রামের আক্কেল শিকদারের ছেলে সোহাগ শিকদার (৪০) নিজঘরে ডেকে নেন প্রতিবেশী শিশুটিকে। পরে শিশুটির নাকের সামনে চেতনানাশক দিয়ে অজ্ঞান করে ধর্ষণ করেন। শিশুটির জ্ঞান ফিরলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। এসময় বিষয়টি কাউকে জানালে শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকিও দেন সোহাগ।

বাড়িতে এসে প্রচণ্ড ব্যথা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটি তার মাকে সব জানায়। কিন্তু শিশুটির পরিবারকেও সোহাগ হত্যার হুমকি দেয়। তাই প্রথমে শিশুটির পরিবার ভয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে রোববার শিশুটিকে প্রথমে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে বিকেলে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আরও পুড়ন-

শিশুটির মা বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাই না। তাহলে সোহাগ ও তার লোকজন আমাদের মেরে ফেলবে। খুব ভয়ে আছি। এই ঘটনার বিচার পাবো কি না সেটাও জানি না।

মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, ‘শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া হয়েছে। গাইনি চিকিৎসকের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর মেডিকেল টিম গঠন করে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।’

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দুইদিন আগের ঘটনা। আজ বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতালে যায় পুলিশ। পরে মেয়েটির সঙ্গে কথা বললে ঘটনার প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়। এই ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। আর অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হবে। যদি নির্যাতিতার পরিবারকে কেউ হুমকি দেয়, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।