সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি

‘ছাত্রদল করায় আমাকে পরিবার থেকে ত্যাজ্য করা হয়’

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ

‘পরিবার থেকে আমাকে ত্যাজ্য করা হয়। পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বিএনপির নেতা কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোরের কেশবপুর প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় নিজেকে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ঘোষণা করেন রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ।

শ্রাবণ বলেন, দীর্ঘ এক যুগ পর কেশবপুরের মাটি ও মানুষের সেবা করার জন্য এসেছি। কেশবপুরের মাটি ও মানুষের সঙ্গে মিশে আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। কেশবপুরের উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে সাংবাদিকসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে যখন আমি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের কাউন্সিলে অংশ নিই, তখন আমার পরিবার থেকে আমাকে ত্যাজ্য করা হয়। আমার পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে আমার যোগাযোগ নেই, শুধু আমার গর্ভধারিণী মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। এ বিষয়ে আমার পার্টিও অবগত। আমার পরিবারে যারা রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক আমার নেই।’

এসময় বিএনপির সহসভাপতি মশিয়ার রহমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুর মল্লিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামছুল আলম বুলবুল, পৌর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল হালিম অটল, উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর কবির মিন্টু, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম পলাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এরআগে দীর্ঘ এক যুগ পর শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ নিজ এলাকা কেশবপুরে আসেন। তার বাড়ি উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে। তার আগমনে হাজার খানেক মোটরসাইকেল ও যানবাহনযোগে স্বাগত জানান বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

শ্রাবণ কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে। তার বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান।

মেজ ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। তিনি গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। সেজ ভাই কাজী আজহারুল ইসলাম মানিক উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিএনপির রাজনীতি করার বিষয়টি শ্রাবণের বাবাও ভালোভাবে নেননি। এ কারণে ছেলের সঙ্গে ছিন্ন করেন সম্পর্ক। ছাত্রদল করার কারণে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে শ্রাবণের পরিবার যোগাযোগ রাখেনি তার সঙ্গে। শ্রাবণও দীর্ঘদিন বাড়িতে যান না। এমনকী পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানেও অংশ নেন না তিনি।

মিলন রহমান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।