অটোরিকশাচালক হত্যার ১৯ বছর পর তিনজনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লায় জসিম উদ্দিন নামের এক অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
হত্যা মামলার ১৯ বছর পর মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার অতিরিক্ত দায়রা জজ (পঞ্চম) আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এই রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি মো. এনামুল হক সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা মোবারক হোসেন, আবদুল মালেক ও নুরুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় তারা কেউ উপস্থিত ছিলেন না। সবাই পলাতক।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জেলার চৌদ্দগ্রামের মিয়াবাজার থেকে মোবারক ও মালেক ময়নামতির দেবপুরে যাওয়ার কথা বলে জসিম উদ্দিনের অটোরিকশায় ওঠেন। একপর্যায়ে সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার এলাকায় পৌঁছালে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গাড়িতে ওঠেন নুরুল ইসলাম। দেবপুর এলাকার বিন্দিয়ার চরে পৌঁছে জসিমকে হত্যা করে সেতুর নিচে ফেলে অটোরিকশা ছিনতাই করেন তারা।
ঘটনার পর ওইদিনই মরদেহ উদ্ধার করে বুড়িচং থানা পুলিশ। পরদিন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা করেন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কাজী মাছুমুর রহমান।
পরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোবারককে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে তারা দেওয়া স্বীকারোক্তিতে আব্দুল মান্নানের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা উদ্ধার করা হয়।
২০০৯ সালে মামলাটি কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতে নথিভুক্ত হয়। ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মোবারক, মালেক ও নুরুল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা দেন আদালত। পাশাপাশি আব্দুল মান্নান ও সাইফুল ইসলামকে খালাস দেওয়া হয়।
জাহিদ পাটোয়ারী/এসআর/এএসএম