শেরপুরে ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ শেষ হলো কেবল ফটোসেশনে
শেরপুরে ‘বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস’ কেবল ফটোসেশনে করেই কার্যক্রম সমাপ্ত করা হয়েছে জেলার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর মতো জনগুরুত্বপূর্ণ একটি দিবস এভাবে ‘গা ছাড়া’ ভাবে পালিত হওয়ায় জেলার সচেতন নাগরিকদের মাঝে সমালোচনার ঝড় বইছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ফটোসেশনের মাধ্যমেই দিবসটি পালন করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শাহিন। এসময় অনেকেই তন্দ্রাঘোরে ঝিমাচ্ছেন, আবার কয়েকজন ঘুমিয়েই পড়েছেন। এভাবে আলোচনা পর্ব শেষ করে অফিস প্রাঙ্গণে ব্যানার হাতে নিয়ে ফটোসেশান করেই দিবসটি পালন করা হয়।
সচেতন নাগরিকরা বলছেন, সাধারণ নাগরিকদের অবহিত বা সচেতন না করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে থাকা লোকদের নিয়েই ‘গা ছাড়া’ ভাবে দিবসটি পালন করা হয়েছে। একটি জন গুরুত্বপূর্ণ দিবস, জনসাধারণের মাঝে আলোচনা, সচেতনতা মূলক কোনো বার্তা না দিয়েই এভাবে পালন করা যায়। এভাবে প্রোগ্রামটি পালনের মধ্যদিয়ে সরকারের কর্মঘণ্টা, অর্থ অপচয় ছাড়া আর কিছুই হয়নি।
সুইসাইড প্রিভেনশন অ্যান্ড কাউন্সিল সোসাইটির পরিচালক জিএম রব্বানী বলেন, মানসিক অসুস্থতার মতো এমন একটি নীরব ঘাতক রোগের ব্যাপারে শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উদাসীন। একটি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জনসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক বার্তা পৌঁছিয়ে সচেতন করতে পারে, কিন্তু এখানে সেই উদ্যোগের অভাব দেখা গেছে।
সম্মিলিত সচেতন নাগরিক উদ্যোগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থা বিবেচনায় ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তবে শেরপুরে ‘মানসিক স্বাস্থ্য’ আজও অবহেলিত। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসীনতার কারণেই এমন অবস্থা। জেলার সিভিল সার্জন তার কার্যলয়েই ফটোসেশন করেই দিবসটি পালন করে ফেললেন।
তবে এ বিষয়ে জানতে সিভিল সার্জনকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মো. নাঈম ইসলাম/কেএইচকে/এমএস